কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কৃষিকাজ করার সময় সাপের কামড়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। কামড় দেওয়া সাপটি রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া ছিল বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম কামরুজ্জামান প্রামাণিক (৫০)। তিনি উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চর জগন্নাথপুর গ্রামের করিম প্রামাণিকের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।

দুপুরে কামরুজ্জামানের ভাতিজা সোলাইমান বলেন, চরের মাঠে চাচা বেলা ১১টার দিকে কলার বাগান পরিষ্কার করছিলেন। তখন হঠাৎ রাসেলস ভাইপার সাপে কামড় দেয়। তখন চাচা নিজেও সাপটিকে মেরে ফেলেন এবং সাপসহ চাচাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির প্রায় ৩০ মিনিট পর সেখানে চাচা মারা যান।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, সাপসহ রোগী এসেছিলেন হাসপাতালে। আধা ঘণ্টার মধ্যে রোগী মারা যান। সাপটি বিষধর রাসেলস ভাইপার। এত দ্রুত রোগী মারা যাওয়ার কথা নয়। সম্ভবত বিষের পরিমাণ বেশি থাকায় দ্রুত বিষ ছড়িয়ে পড়ায় তিনি দ্রুত মারা গেছেন।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

সোলাইমান শেখ বলেন, কৃষিকাজ করার সময় রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে একজন মারা যাওয়ার খবর পেয়েছেন। মরদেহটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দ. এশিয়ায় বাংলাদেশে জিডিপির সবচেয়ে কম বরাদ্দ স্বাস্থ্য খাতে

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশে জিডিপির সবচেয়ে কম শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়। শিশুর সার্বিক উন্নতিতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি বলে মনে করছেন বিশিষ্টজন। এ ছাড়া অন্যান্য খাতের বাজেট কমিয়ে এ খাতে কিভাবে বরাদ্দ দিতে হবে তার রোডম্যাপ করাও জরুরি বলে মনে করেন তারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইউনিসেফ বাংলাদেশ কার্যালয়ে এক মিডিয়া ওরিয়েন্টেশনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। ‘২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট : শিশুদের দৃষ্টিকোণ থেকে বর্তমান প্রবণতা এবং তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিশু-সম্পর্কিত সমস্যা এবং শিশুর বিকাশের ওপর বাজেট বরাদ্দের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

এতে ইউনিসেফ, বাংলাদেশের সোশ্যাল পলিসি অ্যান্ড ইকোনমিক স্পেশালিস্ট মো. আশিক ইকবাল তাঁর মূল প্রবন্ধে বলেন, ‘ইউনিসেফ মূলত শিশুদের নিয়ে কাজ করে। শিশু অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমাদের মূলত প্রয়োজন বাজেট। বাজেট বরাদ্দ ছাড়া আমরা তা করতে পারব না। এবার কোনো রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় না থাকায় আশা করা যায়, বাজেটে কিছুটা ভিন্নতা থাকবে। বাজেট তৈরির ক্ষেত্রে শিশুদের নিয়ে যারা কাজ করে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয় না। সেই সুযোগটি এবার তৈরি হয়েছিল। অন্যান্য দেশ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে যেভাবে বরাদ্দ দেয়, সেখান থেকেও আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। 

প্রবন্ধে বলা হয়, সোশ্যাল খাতে আমাদের যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়, সেগুলো গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডের তুলনায় অনেক কম। গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী, জিডিপির ৪ থেকে ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া উচিত। আমাদের দেশে বাজেটের মাত্র ১২ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত বছর শিক্ষা খাতে জিডিপির ১ দশমিক ৬ শতাংশ বিনিয়োগ করা হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ