ভারতের দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা নাগার্জুনা আক্কিনেনি। গত বছরের শেষের দিকে অভিনেত্রী শোভিতার সঙ্গে বড় ছেলে নাগা চৈতন্যর বিয়ে দেন। একই বছর কনিষ্ঠ পুত্র আখিল আক্কিনেনির বাগদান সারেন। হবু স্ত্রী জয়নব রাবজির সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়তে যাচ্ছেন আখিল।

একটি সূত্র সিয়াসাতকে বলেন, “আগামী ৬ জুন সাতপাকে বাঁধা পড়বেন আখিল আক্কিনেনি ও জয়নব। এরই মধ্যে বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করেছে দুই পরিবার। বিয়ের কিছু আনুষ্ঠানিকতা হায়দরাবাদের অন্নপূর্ণা স্টুডিওতে হবে। বিয়ের মূল অনুষ্ঠান হবে রাজস্থানে। যদিও এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি নাগার্জুনা আক্কিনেনির পরিবার।”

বাবা ও বড় ভাইয়ের পথ অনুসরণ করে অনেক আগেই চলচ্চিত্রে পা রেখেছেন আখিল। তবে তার হবু স্ত্রী জয়নব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কেউ নন। শিল্পপতি জুলফি রাবজির কন্যা। তবে জয়নব চিত্রশিল্পী হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। তার আঁকা ছবি নিয়ে হায়দরাবাদে বেশ কিছু প্রদর্শনী হয়েছে।

কয়েক বছর আগে আখিল-জয়নবের পরিচয়। এরপর চুটিয়ে প্রেম করে ঘর বাঁধতে যাচ্ছেন এই জুটি। সবকিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু আখিল-জয়নবের বয়সের ব্যবধান সমালোচনার জন্ম দেয়। কিন্তু এ জুটির বয়সের ব্যবধান কত?

দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল জানিয়েছে, ১৯৯৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন আখিল আক্কিনেনি। তার বয়স এখন ৩০ বছর। অন্যদিকে জয়নব রাবজির বয়স ৩৯ বছর। ৯ বছরের বড় জয়নবকে বিয়ে করার বিষয়টি নিয়ে বেশ চর্চা চলছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। তবে এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি আখিল কিংবা জয়নব।

২০১৫ সালে তেলেগু ভাষার ‘আখিল’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে আখিল আক্কিনেনির। অভিষেক চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দর্শকদের নজর কাড়েন। এ সিনেমার জন্য সেরা নবাগত বিভাগে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতে নেন এই অভিনেতা। বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এ তালিকায় রয়েছে— ‘হ্যালো’, ‘মিস্টার মজনু’, ‘এজেন্ট’ প্রভৃতি। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র বয়স

এছাড়াও পড়ুন:

শিশুদের হাতে মোবাইল না দিতে বাসস চেয়ারম্যানের অনুরোধ

শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে না দিতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ করেন।

বাসস চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তির কারণে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা মেধাহীন হয়ে যাচ্ছে। শিশুদের মোবাইল ফোন না দিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখলে তাদের মেধার বিকাশ ঘটবে।’’

তিনি বলেন, ‘‘শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের যদি মেধাবী করে গড়ে তোলা হয়, তাহলে আগামী দিনের বাংলাদেশে সেই সুফল ভোগ করা যাবে।’’

ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি গাযী আনোয়ার হোসেন ও সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী।

ডিআরইউর সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারীবিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির), আকতারুজ্জামান, আমিনুল হক ভূঁইয়া, মো. সলিম উল্ল্যা (এস ইউ সেলিম)-সহ ডিআরইউ সদস্যরা।

প্রতি বছরের মতো এবারো ডিআরইউ শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ডিআরইউর শফিকুল কবির মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ উৎসব চলে। এতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সংগঠনের সদস্যদের শতাধিক সন্তান অংশ নেয়। চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও আবৃত্তিতে ক, খ, গ বিভাগে ২৭ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

এবারের প্রতিযোগিতায় চিত্রাঙ্কনে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র আর্টিস্ট অভিজিৎ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক কামাল উদ্দিন ও চিত্রশিল্পী শায়লা আক্তার। সংগীতে বিচারক ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. অণিমা রায় এবং বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক আলম মাহমুদ। আবৃত্তি বিভাগে বিচারক ছিলেন আবৃত্তিকার রেজিনা ওয়ালী লীনা, ফয়জুল আলম পাপ্পু ও শিশু একাডেমির আবৃত্তির প্রশিক্ষক রূপশ্রী চক্রবর্তী।

প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলো- চিত্রাঙ্কন ক বিভাগে প্রথম হোসেন রিজভান রাউসিফ, দ্বিতীয় আরাবি আল আবিদ, তৃতীয় ফাতেমা তাছনিম, খ বিভাগে প্রথম হয়েছে হোসেন রাজভীন রাউনাফ, দ্বিতীয় মেহজুবা ইবনাত সিমলা, তৃতীয় সানদিহা জাহান দিবা, গ বিভাগে প্রথম হয়েছে জাওয়াদ খান, দ্বিতীয় মারজুকা জয়নব, তৃতীয় অদ্বিতীয়া পূণ্য। 

সঙ্গীত ক বিভাগে প্রথম হয়েছে, মুয়ান্তিরা রহমান সানাইয়া, দ্বিতীয় জাওয়াদ ইনাম সানান, তৃতীয় অরুন্ধতী কর গল্প, খ বিভাগে প্রথম তাসনুভা মাহরিন তানিশা, দ্বিতীয় আরাত্রিকা দাস বৃদ্ধি, তৃতীয় ওয়াজিহা মাহবুব শাইরা, গ বিভাগে প্রথম জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি, দ্বিতীয় রাদিতা জাহান নুভা, তৃতীয় মাকসুদা রুকাইয়া। 

আবৃত্তি ক বিভাগে প্রথম অরুন্ধতী কর গল্প, দ্বিতীয় তাহসিন হক আনিকা, তৃতীয় সুহায়লা জাইমা। খ বিভাগে প্রথম সানদিয়া জাহান দিবা, হোসেন রাজভীন রাউনাফ, আইনুন নাহার আকসা। গ বিভাগে প্রথম জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি, দ্বিতীয় আনান মুস্তাফিজ, তৃতীয় মারজুকা জয়নব।

ঢাকা/এএএম/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিশুদের হাতে মোবাইল না দিতে বাসস চেয়ারম্যানের অনুরোধ