গাজীপুরে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজির বাড়িতে ডাকাতি
Published: 31st, May 2025 GMT
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের ঠেঙ্গারবান্দ গ্রামে অতিরিক্ত ডিআইজি (রেলওয়ের হেড কোয়ার্টারে কর্মরত) আবিদা সুলতানার পৈতৃক বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।
শুক্রবার রাত তিনটার দিকে একদল ডাকাত বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ে। ঘরের দরজা ভেঙে বাড়ির লোকজনদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে রাখে। এ সময় ডাকাত সদস্যরা আলমারিসহ বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ২ লাখ ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
এ খবর পেয়ে সেখানে যান ডিআইজি আবিদা সুলতানা। তিনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধার এবং ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউএনও’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলামের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলনের উপর বহিরাগতরা হামলা করেছে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নারী নেত্রীসহ অন্তত চারজনকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
রবিবার (১ জুন) বিকেলে বাউফল উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে হামলা করা হয়।
গত ১৯ মে দৈনিক কালেরকণ্ঠের পটুয়াখালী প্রতিনিধি এমরান হাসান সাহেলের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও জেলে ভরার হুমকি দেন ইউএনও আমিনুল ইসলাম। এ ঘটনায় তার অপসারণের দাবিতে আজ রবিবার (১ জুন) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে ইউএনও অফিসের পিয়ন শ্যামল চন্দ্র প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। সম্মেলন শুরুর ২০ মিনিট পর কয়েকজন বহিরাগত যুবক এসে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন ও অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন। কিছুক্ষণ পর আবারও হামলা চালিয়ে লিখিত বক্তব্য ছিনিয়ে নেয় তারা।
আরো পড়ুন:
জিএম কাদেরসহ ২৮০ জনের বিরুদ্ধে বরিশালে মামলা
এফডিসিতে রামদা নিয়ে এক ব্যক্তির হামলা, ২৪টি গ্লাস ভাঙচুর
পরে ইউএনওর নিরাপত্তায় থাকা ২০-২৫ জন আনসার সদস্য ও ২০-২৫ জন গ্রাম পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনকারীদের গেটের বাইরে চলে যেতে বলেন। এ সময় তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী শাহনাজ, আয়শাতুন্নেছা বর্ষা, সিয়াম আহমেদ ও শুভ চন্দ্রশীলকে ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
বাউফল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুভ চন্দ্রশীল বলেন, ‘‘সম্প্রতি ইউএনও একজন সাংবাদিকের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। তার অপসারণ দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সংবাদ সম্মেলন করছিলাম। অথচ ইউএনওর ইন্ধনে বহিরাগতরা আমাদের ওপর হামলা করে এবং সংবাদ সম্মেলন পণ্ড করে দেয়।’’
এ বিষয়ে জানতে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘এ রকম কিছু ঘটেওনি, এ রকম কিছু জানাও নেই।’’
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।’’
ঢাকা/ইমরান/বকুল