‘শিবির মারা জায়েজ’ পোস্ট দেওয়া ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে জিডি
Published: 31st, May 2025 GMT
ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের হত্যার হুমকি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহীতে ছাত্রদলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে শুক্রবার (৩০ মে) রাতে নগরের বোয়ালিয়া থানায় এ জিডি করা হয়। শনিবার (৩১ মে) এ তথ্য জানা গেছে।
অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মীর নাম আহনাফ তাহমিদ অর্জন (২৩)। তিনি রাজশাহী নগরীর ভাটাপাড়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে। আহনাফ রাজশাহী কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং কলেজ শাখা ছাত্রদলের কর্মী।
রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোশফিকুর রহমানের করা জিডিতে অভিযোগ করা হয়েছে, আহনাফ তাহমিদ অর্জন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শিবির মারা জায়েজ ছিল, জায়েজ আছে, জায়েজ থাকবে। এদের বেসিক হিউম্যান রাইটস থাকাও উচিত কি না, সেটা নিয়ে ডিবেট হওয়া উচিত।’ এ পোস্টকে হুমকিমূলক উল্লেখ করে ছাত্রশিবির নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহনাফ তাহমিদ অর্জন বলেছেন, “বিভিন্ন জায়গায় আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। ক্যাম্পাসে শিবির আবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। এসব দেখে আমার খারাপ লেগেছে। তাই, একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। পরে মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিন ভাই ফোন করে বলেন, এটি ঠিক হয়নি। তখন আমি পোস্ট সরিয়ে ফেলি।”
রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ আবির বলেছেন, “ছেলেটিকে আমি খুব একটা চিনি না। শুধু জানি, সে ছাত্রদলের কর্মী। মহানগর ছাত্রদল তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।”
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, “এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/কেয়া/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র আহন ফ
এছাড়াও পড়ুন:
দুই জাতীয় প্রতিযোগিতায় বিইউবিটির গৌরবোজ্জ্বল সাফল্য
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি) সাম্প্রতিক সময়ে দুটি জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়েছে। শনিবার অনুষ্ঠিত ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিইউবিটির ডিবেটিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ফাইনাল পর্বে বিইউবিটি আনন্দ মোহন কলেজকে পরাজিত করে।
বিতর্কের বিষয় ছিল- ‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।’ এই বিতর্কে বিইউবিটি বিরোধী দলের ভূমিকায় অংশগ্রহণ করে যুক্তিনিষ্ঠ বিশ্লেষণ, শক্তিশালী উপস্থাপন এবং বুদ্ধিদীপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে।
অন্যদিকে, শুক্রবার অনুষ্ঠিত ৭ম ওয়ার্ল্ড ইনভেনশন কমপিটিশন অ্যান্ড এক্সিবিশনের জাতীয় পর্বে বিইউবিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী প্রকল্প ‘এগ্রো ডক্টর’ আইটি ও রোবোটিকস বিভাগে রৌপ্য পদক অর্জন করে।
৫১তম ব্যাচের তিনি শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী, কামরুল ইসলাম ও মো. সাকিলের উদ্ভাবিত প্রকল্প ‘এগ্রো ডক্টর’ প্রযুক্তিনির্ভর এমন একটি সমাধান, যা কৃষকদের ফসলের রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করে। এটি অটোমেশন ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে, টেকসই কৃষি ও সফল ফলনের নিশ্চয়তা প্রদান করে।
এই সাফল্যের পর বিইউবিটির উভয় দল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ বি এম শওকত আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। উপাচার্য তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এই অর্জনসমূহ শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নয়, বরং বিইউবিটির সম্মান এবং বাংলাদেশের শিক্ষার গৌরব। আশা করি, বিইউবিটির তরুণেরা দেশ ও জাতির জন্য আরও সৃজনশীল ও দক্ষ নেতৃত্ব গড়ে তুলবে।’
ডিবেটিং ক্লাবের সদস্যরা বলেন, ‘এই জয় আমাদের যুক্তিবোধ, দলগত কাজ ও নেতৃত্বের একটি অনন্য প্রমাণ। আমরা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও নিজেদের জায়গা করে নিতে চাই।’ অপরদিকে টিম ‘এগ্রো ডক্টর’- এর সদস্যরা বলেন, ‘আমাদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি দেশের কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। এই সাফল্য আমাদের আরও উদ্ভাবনে উৎসাহিত করবে।’
বিইউবিটি ভবিষ্যতেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করে বাংলাদেশকে গর্বিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি