ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের হত্যার হুমকি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহীতে ছাত্রদলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে শুক্রবার (৩০ মে) রাতে নগরের বোয়ালিয়া থানায় এ জিডি করা হয়। শনিবার (৩১ মে) এ তথ্য জানা গেছে।

অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মীর নাম আহনাফ তাহমিদ অর্জন (২৩)। তিনি রাজশাহী নগরীর ভাটাপাড়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে। আহনাফ রাজশাহী কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং কলেজ শাখা ছাত্রদলের কর্মী।

রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোশফিকুর রহমানের করা জিডিতে অভিযোগ করা হয়েছে, আহনাফ তাহমিদ অর্জন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শিবির মারা জায়েজ ছিল, জায়েজ আছে, জায়েজ থাকবে। এদের বেসিক হিউম্যান রাইটস থাকাও উচিত কি না, সেটা নিয়ে ডিবেট হওয়া উচিত।’ এ পোস্টকে হুমকিমূলক উল্লেখ করে ছাত্রশিবির নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহনাফ তাহমিদ অর্জন বলেছেন, “বিভিন্ন জায়গায় আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। ক্যাম্পাসে শিবির আবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। এসব দেখে আমার খারাপ লেগেছে। তাই, একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। পরে মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিন ভাই ফোন করে বলেন, এটি ঠিক হয়নি। তখন আমি পোস্ট সরিয়ে ফেলি।”

রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ আবির বলেছেন, “ছেলেটিকে আমি খুব একটা চিনি না। শুধু জানি, সে ছাত্রদলের কর্মী। মহানগর ছাত্রদল তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।”

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, “এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/কেয়া/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র আহন ফ

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ