জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকীতে সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্রদলের দোয়া ও মিলাদ
Published: 31st, May 2025 GMT
মহান স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের উদ্যোগে ১ নম্বর ওয়ার্ডে এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে কুরআন তিলাওয়াত, মিলাদ ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজীব।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, "শহীদ জিয়াউর রহমান কেবল একজন রাষ্ট্রপতি ছিলেন না, তিনি এ দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে সাহসিকতার প্রতীক ছিলেন। তাঁর আদর্শ ও দেশপ্রেম আমাদের প্রেরণা যোগায়। ছাত্রদলের প্রতিটি কর্মীকে এই আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।"
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদল ও বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা শহীদ জিয়াউর রহমানের জীবনী এবং তাঁর রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় অবদানের কথা স্মরণ করে ছাত্রদের মাঝে তাঁর আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদল নেতা রাকিবুল ইসলাম রাকিব। তিনি বলেন,
"ছাত্রদল সবসময় শহীদ রাষ্ট্রপতির আদর্শ অনুসরণ করে রাজনীতিতে ছাত্রদের সক্রিয় ও সচেতন ভূমিকা নিশ্চিত করতে চায়।"
মাদ্রাসার ছাত্রদের অংশগ্রহণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল একটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ জ য় উর রহম ন ছ ত র দল স দ ধ রগঞ জ ছ ত রদল র র ষ ট রপত অন ষ ঠ ন আদর শ
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।”
শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।
তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি। ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ