ফ্রান্সে পিএসজির বিজয় উন্মাদনা রূপ নিল সহিংসতায়: নিহত ২, আহত ১৯২
Published: 1st, June 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের বিজয় উদ্যাপনকালে ফ্রান্সে দুজন নিহত ও ১৯২ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পাঁচ শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ রোববার এসব তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে পিএসজি প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস ও আশেপাশের এলাকায় বিজয় উন্মাদনা শুরু হয়। ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলানকে হারানোর পর শুরু হওয়া এ উৎসব উদ্যাপন একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
গতকাল শনিবার রাতে পিএসজি প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস ও আশেপাশের এলাকায় বিজয় উন্মাদনা শুরু হয়। ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলানকে হারানোর পর শুরু হওয়া এ উৎসব উদ্যাপন একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নেয়।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, সকাল পর্যন্ত ৫৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শুধু প্যারিসেই গ্রেপ্তার করা হয় ৪৯১ জনকে। এর মধ্যে ৩২০ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে; যাঁদের ২৫৪ জন প্যারিসের।
সংঘর্ষ চলাকালে চঁপ এলিজে সড়কে কিছু বাস স্টপেজ ভেঙে ফেলা ও দাঙ্গা পুলিশকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন বস্তু ছুড়ে মারা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও জলকামান ব্যবহার করে। এ সময় পিএসজির হাজার হাজার সমর্থক বিখ্যাত এ সড়কে ভিড় করেছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, সারা দেশে আগুন লাগানোর শত শত ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আছে দুই শতাধিক যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা। সহিংসতার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ২২ সদস্য ও সাত দমকলকর্মী আহত হয়েছেন।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, সারা দেশে আগুন লাগানোর শত শত ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আছে দুই শতাধিক যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা। সহিংসতার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ২২ সদস্য ও সাত দমকলকর্মী আহত হয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প এসজ
এছাড়াও পড়ুন:
কারও কোনো অপরাধ নাই
পিতার মস্তিষ্কে ঘর আমি তবু আলাদা কেউ
আছে সে নিশ্চিত জানি; দেখে না চোখ
না রূপ, না অরূপ
দল বেঁধে থাকি অসংখ্য ভাই-বোন
মা তার বুক পেতে ধরে রাখে
খণ্ড খণ্ড আমাকে, তাকে এবং তোকে
অন্ধকার ঘন হলে স্মৃতিরা ডানা মেলে—
চুপচাপ, খুব ধীরে
জেগে ওঠে হরেক জগৎ
রাজকন্যার রূপ নিয়ে বসে থাকে মা
কত স্বপ্ন, কত গল্পেরা মুহূর্তে মহিরুহ হয়
মা মেলে ধরে অপরূপ রূপ, বেহেশতের খুশবু
বাবা কামে
ঘামে
মায়ের পুকুর থেকে তুলে আনে চিতল হরিণ
আমাদের ঘুম ভাঙে
অসংখ্য কোটি বছরের ঘুম থেকে
আমরা অসংখ্য ভাই-বোন জেগে উঠি
এ আমাদের গেরিলা যুদ্ধ ছিল
পৃথিবীকে জানবার, মাটিতে সোনারোদ গন্ধ মেখে
কিছু প্রেম মানুষকে বিলাব, অথবা আমরা গোল হয়ে ঘুরি
মায়ের নাভিমূলে
মা বিস্তৃত হতে থাকে, মা প্রসারিত হতে থাকে
মা হেমন্তের নরম ভোর, অলৌকিক রোদ...
প্রতি রাতে বাবাকে হত্যা করে মা
ক্রমাগত বাবা জন্মাতে থাকে মায়ের পুষ্পিত জলাধার থেকে
আমরা বুঝতে পারি না, কে মা? কে বাবা?
মানুষ মূলত ভ্রমণে আছি
শুধু কি আমরা এই নদী–নক্ষত্র–আকাশ
ফেনিল আকাশগঙ্গা অজস্র মহাকাশ
অসংখ্য ধূলিকণা, গতির নিভৃত প্রাণ
পথে পথে যুদ্ধ হলো
ভীষণ
খানাখন্দ বাধা, ভাইয়ের চিৎকার
বোনের যন্ত্রণাকাতর মুখ, তবু
আমাকেই যেতে হয়েছে, পেছনে
কোটি কোটি ভাইবোনের মৃত্যুর মিছিল
যে যাচ্ছে, তার কোনো অপরাধ নাই
যে আসছে, তার কোনো অপরাধ নাই
কথা ছিল হাসিতে ফেটে পড়ি
এসেছি নতুন দেশে; দৃশ্যমান পেয়েছি শরীর
কেন তবে দিয়েছি হরেক চিৎকার?
কার ভয়ে?
অতীত হত্যার ছোপ ছোপ রক্ত, চিৎকার
কান্না-অভিমান
ভাইকে হত্যার অপরাধ?
বোনকে হত্যার অভিশাপ?
কিসের কান্না আমার?
স্মৃতি আমাকে কান্নার ভাষা দেয়
কান্না দেয় মুক্তি অথবা—
মানুষের কি কখনো মুক্তি হয়েছিল?
এত ধর্ম এল
দেবতা, মুনি, নবী এল বিশ্বমুক্তির বার্তা নিয়ে
তবু পৃথিবীতে শান্তি এল না
জন্মের মৃত্যু থাকে চলমান
হত্যা থাকে চলমান
আমরা মানুষেই ফিরে এসেছি বারবার
মানুষ হত্যা করে যে মানুষ টাকা নেয়
সে অর্থ সে ভালোবেসে মানুষে দেয়
এ বিশাল পৃথিবী
দখল নিয়েছে মানুষ
প্রতি ইঞ্চি জমি-পাথর-ঝরনা-বন
মানুষের পদচ্ছাপ সবর্ভূতে ব্যাপ্তিমান
দখল মানে যুদ্ধ
যুদ্ধ মানে মৃত্যু—হত্যা-লুট-মৃত্যু
এত বিপ্লব, রক্তপাত, যুদ্ধ, হানাহানি
তবু দিন শেষে ফিরে এসেছি মানুষের কাছে
মানুষের বোধ দিয়েছে নতুন পথ
গতি আর স্থিতি
হত্যা আমাদের করতে হয়
হত্যা–শান্তি
ধর্ম–হত্যা, সভ্যতা–হত্যা
পৃথিবীতে প্রতিদিন হত্যার উৎসব বসে
হাওয়াকে হত্যা করে তির ছুটে চলে সামনে
কারও কোনো অপরাধ থাকে না
কত কত মা তার সন্তানকে সমূহ হত্যা করে
নিভৃতে কান্নার উৎসব করে
কারও কোনো অপরাধ নাই
মানুষ ভালোবাসবে শুধু
সকল প্রাণীকে, পাহাড়, নদী, ঘাস
হাওয়াকে হত্যা করে তির ছুটে চলে সামনে
কারও কোনো অপরাধ থাকে না
না হাওয়ার, না তিরের...