জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে: জাহিদ হোসেন
Published: 2nd, June 2025 GMT
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, দ্রুত সংস্কার, বিচার এবং জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। যত দ্রুত জনগণের কাছে তাদের মালিকানা ফিরিয়ে দেবেন, তত দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে, মানুষ আশ্বস্ত হবে।
আজ সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের একটি রেস্তোরাঁর হল রুমে জেলা বিএনপির বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহিদ হোসেন এসব কথা বলেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘জনগণের অধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার দায়িত্ব এখনকার সরকারের। সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে ইতিহাসে তাঁদের নাম লেখা থাকবে। আর তা না হলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। এক স্বৈরাচারী সরকার চলে গেছে। এখন যদি আমরা আবার কর্তৃত্ববাদী শাসনের মধ্যে পড়ি, তাহলে জনগণ আশাহত হবে। দ্রুত জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে জাহিদ হোসেন বলেন, বিচারব্যবস্থায় কিছু সংস্কার দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সেটি থেমে গেছে। প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আওয়ামী দোসররা বসে আছে। তাদের না সরাতে পারলে প্রশাসন কখনোই জনমুখী হবে না।
বিএনপিকে জনগণের ভালোবাসায় গড়ে ওঠা দল দাবি করে জাহিদ হোসেন বলেন, জাতীয়তাবাদী দলের শক্তি এর সমর্থক, তৃণমূলের কর্মী বাহিনী ও সাধারণ মানুষ। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বিএনপি ছিল না, কিন্তু যখন দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ে, তখন সিপাহি-জনতা ঘুরে দাঁড়িয়ে শহীদ জিয়াকে মুক্ত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিল। বিএনপির জায়গা মানুষের মনে, বিএনপি জনগণের দল।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুল হকের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ হ দ হ স ন বল কম ট র স ব এনপ র জনগণ র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতেই হবে জাতীয় সনদ: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, “সংস্কার কার্যক্রমে বিভিন্ন কমিশনের প্রস্তাবই চূড়ান্ত নয়, বরং রাজনৈতিক দলগুলো যেসব মতামত দিয়েছে তার ভিত্তিতে পরিবর্তিত প্রস্তাব নিয়েই রচিত হবে জাতীয় সনদ।”
মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আরো পড়ুন:
আমরা ক্ষমতা নিইনি, দায়িত্ব নিয়েছি: অর্থ উপদেষ্টা
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সালাহউদ্দিন
নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই
সব প্রস্তাবে ঐকমত্য হবে না; যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না, সেগুলো জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত হবে না উল্লেখ করে কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, “আমরা কিছু জায়গায় একমত হবো। বাকিটা রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করবে। জনগণ কতটা গ্রহণ করবে সেটা তাদের বিষয়।”
তিনি বলেন, “আমাদের সময়ের স্বল্পতা রয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কী কাজ করছে, তা জানতে জনগণের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে মানুষ জনগণ আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হতে পারেন।”
জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরির কাজ সম্পন্ন হবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আলী রীয়াজ বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোকে মনে রাখতে হবে যে, আমরা যেন ন্যূনতম ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারি।”
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আজকের সভায় সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদের নিম্নকক্ষে সংসদ সদস্যের দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে বিরোধীদলের সদস্য থেকে মনোনয়ন দেওয়া, নিম্নকক্ষের নারী আসন এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।”
এতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ