স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩১ হাজার ৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দ
Published: 2nd, June 2025 GMT
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩১ হাজার ৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে আগামী বছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে। এর মধ্যে জননিরাপত্তা বিভাগের জন্য ২৭ হাজার এক কোটি টাকা এবং সুরক্ষা সেবা বিভাগের জন্য ৪ হাজার ৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেটে এ প্রস্তাব করেন। তার এ বক্তব্য বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ২৯ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জননিরাপত্তা বিভাগের জন্য ২৫ হাজার ৬৩৪ কোটি, সুরক্ষা সেবা বিভাগের জন্য বরাদ্দ ৩ হাজার ৬৯৭ কোটি টাকা।
আরো পড়ুন:
বিএনপির বাজেট প্রতিক্রিয়া বুধবার
বাজেটের আকার কমলেও গুণগত পরিবর্তন নাই: ন্যাপ
ড.
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব মিশনে ই-পাসপোর্ট, ই-ভিসা এবং ই-ট্রাভেল পারমিট প্রচলনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও স্বয়ংক্রিয় ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য বিভিন্ন চেকপোস্টে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ই-গেইট স্থাপন করা হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কারাগারকে সংশোধনাগারে রূপান্তরের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কারা ও সংশোধন পরিষেবা আইন ২০২৫ প্রণয়নের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক সন্ত্রাসীদের অর্থায়নসহ বিভিন্ন ট্র্যান্সন্যাশনাল সংঘবদ্ধ অপরাধ (অর্গানাইজড ক্রাইম) মোকাবিলার অংশ হিসেবে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব বাজেটের আকার ৫ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা।
এর আগে সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের বিশেষ বৈঠকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট প রস ত ব ত ব জ ট ব ভ গ র জন য উপদ ষ ট বর দ দ ত ব কর
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমতি ছাড়াই গাসিক কর্মকর্তা কিবরিয়ার বিদেশ যাত্রা
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি বিধি লঙ্ঘন, তথ্য গোপন, অনুমতি ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ ও বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর গত ১৫ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিক শাহেদ আলম নামে এক ব্যক্তি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গোলাম কিবরিয়া সরকারি কর্মকর্তা হয়েও তথ্য গোপন করে বেসরকারি পাসপোর্ট (নং A০১২৬৬৬১২) সংগ্রহ করেছেন, যা সরকারি চাকরি বিধিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন। ওই পাসপোর্ট ব্যবহার করে তিনি একাধিকবার কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণ করেছেন।
অভিযোগকারী দাবি করেন, তিনি ২০২৪ ও ২০২৫ সালের বিভিন্ন সময়ে কানাডা সফর করেছেন, যার কোনো অনুমোদন তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নেননি।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সর্বশেষ ২০২৫ সালের ১৯ জুন কানাডা সফরের সময় তিনি প্রায় ৫০ হাজার মার্কিন ডলার সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন।
অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, গোলাম কিবরিয়া নিয়মিত বিদেশ ভ্রমণের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করে কানাডায় সেকেন্ড হোম এবং ব্যবসায়িক বিনিয়োগ করেছেন। তার নামে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা পাচারের দুর্নীতির মামলাও চলমান রয়েছে। এমন অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি এখনো পদে বহাল থেকে প্রভাব খাটাচ্ছেন এবং যেকোনো সময় বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অভিযোগকারী বলেন, “তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নিয়মিত বিদেশে যাচ্ছেন, যা সরকারি চাকরি বিধিমালার সরাসরি লঙ্ঘন এবং গুরুতর শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
সূত্র জানায়, গোলাম কিবরিয়া গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের একজন বিতর্কিত কর্মকর্তা। তার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি এখন ওপেন সিক্রেট। তিনি দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে কানাডায় স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করছেন। গাজীপুরবাসীর স্বার্থে এমন বেপরোয়া ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মুহাম্মদ সোহেল হাসান বলেন, “লিখিত অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে যাচাই করা হয়েছে। প্রশাসক মহোদয় বিষয়টি নিয়ে অবগত আছেন। তথ্য গোপন করে বিদেশ যাত্রা শাস্তিযোগ্য অপরাধ, প্রমাণ মিললে বিভাগীয় তদন্তে পাঠানো হবে।”
এ বিষয়ে জানতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে শোকজ করা হয়েছিল এবং তিনি জবাবও দিয়েছেন। শোকজের প্রতিবেদনটি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।”
এ বিষয়ে গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/রেজাউল/এস