রূপগঞ্জে মাদক, দেশীয় অস্ত্র ও ওয়াটাকিসহ কুত্তা শ্রাবনের সহযোগী সজীব গ্রেপ্তার
Published: 2nd, June 2025 GMT
রূপগঞ্জে মাদক দ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্র ও ওয়াটকিসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী শ্রাবন ওরফে কুত্তা শ্রাবন (২৩) এর সহযোগী সজীব প্রধান (৩৮) কে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় আইনশৃংখলাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় শ্রাবন ওরফে কুত্তা শ্রাবন।
উদ্ধারকৃত মাদক দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- আধা কেজি গাাঁজা, ৯১ পুরিয়া হেরোইন ও ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। জব্দকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ২টি চাপাতি, ৬টি রামদা, ৪টি ছুরি। এছাড়াও ৩টি মোবাইলসেট, ৩টি ওয়াকিটকি ও মাদক বিক্রির আট হাজার নয়শত ত্রিশ টাকা জব্দ করা হয়।
সোমাবার (২ জুন) দুুপরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী। এরআগে ভোর বেলায় উপজেলার তারাবো পৌরসভার দক্ষিণপাড়া এলাকায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ওই মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্রসহ সঞ্জীব প্রধানকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় সজিব প্রধান ও কুত্তা শ্রাবনকে পলাতক আসামি দেখিয়ে মামলা করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত সজীব প্রধান তারাব দক্ষিনপাড়া এলাকার মৃত জামাল প্রধানের ছেলে। শ্রাবন ওরফে কুত্তা শ্রাবন একই এলাকার দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মাসুদ ওরফে কুত্তা মাসুদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, পিতার অপরাধ সাম্রাজ্য ধরে রাখতে কুত্তা মাসুদের ছেলে শ্রাবন গড়ে তুলে একটি কিশোর গ্যাং। সে পিতার যোগ্য উত্তরসুরি হয়ে নির্বিঘ্নে অপরাধ সাম্্রাজ্যের ডন হয়ে উঠায় তাকেও স্থানীয়রা কুত্তা শ্রাবন খেতাব দেয়। শ্রাবন নাম প্রায় বিলুপ্ত, কুত্তা শ্রাবন বললে সহজেই তাকে চিনতে পারে এলাকাবাসী।
শ্রাবন ও তার কিশোর গ্যাংয়ের বাহিনীরা সন্ধ্যার পর শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় নিশান মিলে ওয়াকওয়ে ও সুলতানা কামাল সেতুতে ছিনতাই ডাকাতিতে লিপ্ত হয়। তার কিশোরগ্যাং এর সাথে চনপাড়ার কিছু ছেলে রয়েছে। তারা বিশেষ কোনো অপারেশন চালালে তারা যোগ দেয়। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ছিনতাই চুরিসহ মারামারির প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সজীব প্রধানের বিরুদ্ধে মাদক, হামলা ও ভাংচুরসহ রূপগঞ্জ থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। পলাতক কুত্তা শ্রাবন ও তার অন্যসহযোগীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সন ত র স র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ শ র বন ও র পগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
মুজিবনগর সরকারের যারা ছিলেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম
অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, মুজিবনগর সরকারের যারা ছিলেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তবে মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে বিবেচিত হবেন।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফারুক ই আজম আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই–বাছাই করতে গিয়ে দেখা যায়, মুজিবনগর সরকারের কিছু কর্মচারী ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে গণ্য হচ্ছেন। এখন থেকে তাঁরা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে কাউকে বাতিল করা হয়নি। শুধু সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। যিনি যে সুবিধা পাচ্ছেন, তিনি সেই সুবিধা পাবেন। শুধু যাঁরা সরাসরি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন, তাঁরা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হবেন। অন্যরা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’।
বিস্তারিত আসছে...