শরীয়তপুরে সদ্য ঘোষিত জেলা ছাত্রদলের কমিটিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে পালং মডেল থানা এলাকায় সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরে দীর্ঘ চার বছর ধরে ছাত্রদলের কমিটি নেই। পুরাতন কমিটি ২০২২ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বিলুপ্ত করা হয়। এদিকে জেলায় ছাত্রদলের কার্যক্রম গতিশীল করতে মঙ্গলবার (৩ জুন) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি অনুমোদন দেন। এতে এইচ এম জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক ও সোহেল তালুকদারকে সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

কমিটি ঘোষণার পর থেকে একটি পক্ষ সেটি বাতিলের দাবি জানায়। বিকালে সদ্য ঘোষিত কমিটির একটি পক্ষ কমিটি ঘোষণাকে সাধুবাদ জানিয়ে বিজয় মিছিল বের করে। আরেকটি পক্ষ কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল দুটির একটি পালং থানার সামনের গেটের সড়ক ও আরেকটি মিছিল পেছনের গেটের সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে একটি পক্ষ আরেকটি পক্ষের উপর হামলা চালায়। এ সময় বেশ কিছু সময় ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হলে অন্তত পাঁচজন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরো পড়ুন:

শ্রীপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ২৩

শ্রীপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত শতাধিক

জেলার পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, ছাত্রদলের দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পুলিশ সতর্ক থাকায় বিষয়টি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ঢাকা/আকাশ/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ছ ত রদল ছ ত রদল র স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ