শরীয়তপুরে জেলা ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদলের সবশেষ কমিটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। দীর্ঘদিন পর মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করেন। এতে এইচ.

এম জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক ও সোহেল তালুকদারকে সদস্যসচিব করা হয়।

তবে এই কমিটি ঘিরেই তৈরি হয় বিভক্তি। বিকেলে কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে একটি পক্ষ বিজয় মিছিল বের করে। অন্যদিকে, কমিটিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আরেকপক্ষ এর বিরোধিতা করে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

দু’টি মিছিল যথাক্রমে পালং মডেল থানার সামনের গেট এবং পেছনের গেট হয়ে যাওয়ার সময় মুখোমুখি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে একপক্ষ আরেকপক্ষের ওপর হামলা চালালে শুরু সংঘর্ষ। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ালে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ আগে থেকেই সতর্ক ছিল বলে বড় ধরনের অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল স ঘর ষ আহত ছ ত রদল র

এছাড়াও পড়ুন:

ভাইয়ের পাশে ভাই, বাংলাদেশের রক্ষণে ভালোবাসার দেয়াল

দুজনই ডিফেন্ডার। দুজনই গতকাল ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ২-০ গোলের জয়ের অংশীদার। এবারই প্রথম জাতীয় দলের জার্সিতে দুই ভাই একসঙ্গে খেলেছেন।

সাদ উদ্দিন জাতীয় দলে আছেন অনেক দিন ধরে। রক্ষণের বাঁ পাশে তাঁর জায়গা একরকম পাকা। আর তাজ উদ্দিন রক্ষণে ডান প্রান্তের নতুন যোদ্ধা—এই প্রথম জাতীয় দলের জার্সিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।

গতকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে রক্ষণভাগের দুই প্রান্তে খেললেন দুই ভাই, যা নিয়ে সাদের আনন্দের শেষ নেই। গতকালের ভাইয়ের খেলা নিয়ে সাদ আজ প্রথম আলোকে বললেন, ‘আমি তো জাতীয় দলে খেলছি অনেক দিন ধরে। কিন্তু তাজের সঙ্গে একই মাঠে, জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলব—স্বপ্ন ছিল। সেটা অবশেষে পূরণ হয়েছে। আর এতে আমার পরিবারও খুব খুশি।’

সাদের তিন বছরের ছোট তাজ এর আগে গত বছর ঢাকায় মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের ২৩ জনের স্কোয়াডে ছিলেন। কিন্তু খেলার সুযোগ মেলেনি। এ ছাড়া আরও দুবার জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন।

ক্লাব ফুটবলে সাদ উদ্দিন (বাঁয়ে) খেলেন বসুন্ধরা কিংসে, তাজ উদ্দিন খেলেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ