শরীয়তপুরে ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল, দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
Published: 3rd, June 2025 GMT
শরীয়তপুরে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলা শহরে এ সংঘর্ষে দুই পক্ষের সমর্থক, পুলিশ সদস্য, পথচারীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিকেলে কমিটির আহ্বায়ক এইচ এম জাকির ও সদস্যসচিব সোহেল তালুকদারের নেতৃত্বে শহরে একটি আনন্দমিছিল বের করেন তাঁদের সর্মথকেরা। এ সময় পাল্টা প্রতিবাদ মিছিল বের করেন ওই কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক পান্থ তালুকদার, বাবু মাদবর, আফজাল খান, ইসহাক সরদারের সমর্থকেরা। মিছিলটি পালং মডেল থানা অতিক্রম করার সময় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এরপর দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
আরও পড়ুনছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, প্রতিবাদে এক পক্ষের বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ৩ ঘণ্টা আগেএর আগে সকালে শরীয়তপুর জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ৩৫ সদস্যের ওই কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জাকিরকে। তিনি শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী। সদস্যসচিব করা হয়েছে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল তালুকদারকে।
নতুন আহ্বায়ক কমিটির তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রদলের একটি পক্ষ বিক্ষোভ শুরু করে। তারা দুপুরে শরীয়তপুর সরকারি কলেজে ও মাদারীপুর-শরীয়তপুর সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলের সময় তাদের হাতে লাঠি, ঝাড়ু ও জুতা দেখা যায়। বিক্ষোভকারীরা কমিটি বাতিলের দাবি জানান। মিছিল শেষে আদালত এলাকায় সড়কের ওপর বসে অবরোধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নতুন কমিটির আহ্বায়ক জাকির ও সদস্যসচিব সোহেলের নেতৃত্বে সদর উপজেলা পরিষদ থেকে আনন্দমিছিল বের করা হয়। একই সময় শহরের কোট এলাকা থেকে যুগ্ম আহ্বায়ক বাবু মাদবর ও আফজাল খানের নেতৃত্বে তাঁদের সমর্থকেরা আরেকটি মিছিল বের করেন। মিছিল দুটি পালং মডেল থানার দুই প্রান্ত দিয়ে অতিক্রম করার সময় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ধাওয়া দেয়। তখন থানা ক্যাম্পাসের মধ্যে ও পালং বাজার সড়কে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
ওই সংঘর্ষের সময় সাকিব আল হাসান নামের এক পথচারীর মাথা ফেটে যায়। আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তির দোকানের কয়েকটি কাচ ভেঙে যায়। সংঘর্ষের সময় পুলিশের এক সদস্য, একজন পথচারীসহ দুই পক্ষের আরও ১৩ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের সময় পালং বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত তাঁরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পথচারী সাকিব আল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি জামা কেনার জন্য বাজারে এসেছিলাম। এমন সময় দুই পক্ষের মারামারির মধ্যে পড়ে যাই। একটি ইট এসে আমার মাথায় লাগে। রক্তাক্ত হয়ে আমি রাস্তায় পড়ে যাই। স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।’
কমিটিতে পদবঞ্চিতরা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন উল্লেখ করে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব সোহেল তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ক্ষোভ নিবারণের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এর মধ্যেই আমাদের আনন্দমিছিলে হামলা করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আমরা হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনি পদক্ষেপ নেব।’
যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুপুর থেকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন। এর মধ্যেই জাকির ও সোহেলের সমর্থকেরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লোকজন নিয়ে আনন্দমিছিল করেছেন। ওই মিছিল থেকে তাঁরা আমাদের ওপর হামলা করেছেন। ঘোষণা করা কমিটি বাতিল না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
বিকেলে সংঘর্ষের সময় হঠাৎ করে থানা চত্বরে দুই পক্ষ ঢুকে পড়ে জানিয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ র সময় ম ছ ল ব র কর সদস যসচ ব ছ ত রদল র কম ট র সদস য পথচ র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ রেল চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে রেল চলাচল হটাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়ায়। আসান্ন ইদুল আযাহ ঘরমুখো মানুষেরা ভোগান্তিতে পরেছে।
বৃহস্পতিবার ( ৫ জুন) সকালে নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশন, চাষাড়া স্টেশন ঘুরে যাত্রীদের এমনি ভোগান্তিত চিত্র দেখা যায়।
সকাল ৫.৪৫ টায় ও ৮টায় নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশন ছেঁড়ে ঢাকার উদ্দেশ্য ট্রেনটি রওনা দেয়। সকাল সাড়ে ১০টার ট্রেনটি নিদিষ্ট সময় বাইরে রেল স্টেশন ছেঁড়ে যায়।
এই বিষয় নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশন মাস্টারকে স্টেশন পাওয়া যায়নি। মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায় নাই।
এদিকে রেল স্টেশনের আসা টিপু তার ভোগন্তির বিষয় বলেন, হুট করে এমন সিদ্ধান্ত আমাদের মত যাত্রীদের জন্য খু্বি ভোগান্তিতে পরতে হয়।
মো রুবেল জানান. ঈদের ছুটিতে পরিবারকে নিয়ে দিনাজ পুর যাবো ।কিন্তু এখানে এসে জানতে পারলাম ট্রেন আসবো না। ঝুঁকি এড়াতে সড়ক পথ ছেড়ে রেল পথে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু সেই সড়ক পথে যেতে হলো।
এবিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পয়েন্ট ম্যান জানান, আমাদের জানানো হয়েছে রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকবে। আমারা যতটুকু জানতে পারছি ঢাকায় ইঞ্জিনের সংকট থাকার কারণে রেল চলাচল বন্ধ আছে।