বলিউড তারকা হিনা খান দ্বিতীয়বারের মতো কর্কট রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। চলছে চিকিৎসা। কেমো থেরাপিও নিয়েছেন এই নায়িকা। এই কঠিন সময়ে বিয়ে করেছেন হিনা খান। 

দীর্ঘদিনের সঙ্গী রকি জয়সওয়ালের সঙ্গে আইনি বিয়ে করেছেন হিনা খান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন দম্পতির নানা মুহূর্ত শেয়ার করে সুখবর দিয়েছেন বলিউড এই অভিনেত্রী। হঠাৎ এসব ছবি চমকে দিয়েছে নেটিজেনদের। শুভকামনা জানিয়ে মন্তব্যের ঘরে একের পর এক কমেন্ট করে যাচ্ছে নেটিজেনরা।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বর- কনে দুইজনেই বেছে নিয়েছেন প্যাস্টেল শেডের পোশাক। হিনা পরেছেন মনিষ মালহোত্রার ডিজাইন করা শাড়ি। গাঢ় মেহেন্দি পরা হাতের অনামিকায় জ্বলজ্বল করছে হিরের এনগেজমেন্ট রিং। তার শাড়ির আঁচলে সেলাই করা দুইজনের নাম। 

আরো পড়ুন:

‘লিচুর বাগান’ দেখে সাবিলাকে নিয়ে যা বললেন চয়নিকা চৌধুরী

শাকিব খানের সঙ্গে নাচার অভিজ্ঞতা জানালেন ফারিণ

হিনা খান বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছেন, ওই ‘‘দুটি ভিন্ন জগৎ থেকে, আমরা ভালোবাসার এক মহাবিশ্ব গড়ে তুলেছি। আমাদের পার্থক্য ম্লান হয়ে গেছে। আর আমাদের হৃদয় শেষ একটি বন্ধন তৈরি হয়েছে। আমরা দুইজন একসঙ্গে সমস্ত বাধা অতিক্রম করেছি। আজ আইনিভাবে আমাদের প্রেম মান্যতা পেলো। স্বামী- স্ত্রী হিসেবে আমরা আপনাদের আশীর্বাদ এবং শুভেচ্ছা কামনা করি।’’

উল্লেখ্য, রকি ও হিনার প্রেমের সম্পর্ক বহু বছরের। রকি পেশায় একজন প্রযোজক ও পরিচালক। এদিকে টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ হিনা খান। ‘ইয়ে রিস্তা কেয়া কেহেলাতা হ্যায়’, ‘কসৌটি জিন্দেগী কী ২’ ধারাবিকে অভিনয় করে জনপ্রিয় হন হিনা। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দুই সপ্তাহের মধ্যে তেহরানে সুপেয় পানি ফুরিয়ে যেতে পারে

তীব্র খরার কবলে পড়েছে ইরানের রাজধানী তেহরান। সেখানে বাসিন্দাদের সুপেয় পানির প্রধান উৎসটি দুই সপ্তাহের মধ্যে শুকিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএ গতকাল রোববার এ খবর জানিয়েছে।

তেহরানে পানি সরবরাহ কোম্পানির পরিচালক বেহজাদ পারসার বরাত দিয়ে আইআরএনএর খবরে বলা হয়, তেহরানে খাবার পানি সরবরাহের পাঁচটি উৎসের একটি আমির কবির বাঁধ। সেটিতে এখন মাত্র ১ কোটি ৪০ লাখ ঘনমিটার পানি আছে। এটি জলাধারটির মোট ধারণক্ষমতার মাত্র ৮ শতাংশ।

বেহজাদ পারসা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই পরিমাণ পানি দিয়ে মাত্র দুই সপ্তাহ তেহরানের খাবার পানির চাহিদা মেটানো যাবে।

ইরানি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তেহরানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার পানির প্রয়োজন পড়ে।

কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র খরার মোকাবিলা করছে ইরান। গত মাসে স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, তেহরান প্রদেশে এবার বৃষ্টির যে মাত্রা, তেমনটা গত এক শতাব্দীতে খুব একটা দেখা যায়নি।

এক কোটির বেশি মানুষের নগর তেহরান তুষারাচ্ছন্ন আলবোর্জ পর্বতমালার দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত। এই পর্বতমালার সর্বোচ্চ উচ্চতা ৫ হাজার ৬০০ মিটার (১৮ হাজার ৩৭০ ফুট) পর্যন্ত। এই পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন নদীগুলো বহু জলাধারে পানির জোগান দেয়।

বেহজাদ পারসা বলেন, এক বছর আগেও আমির কবির বাঁধে ৮ কোটি ৬০ লাখ ঘনমিটার পানি ছিল। কিন্তু তেহরান অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ প্রায় শতভাগ হ্রাস পেয়েছে।

তেহরানে পানি সরবরাহ করা বাকি জলাধারগুলোর বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি এই কর্মকর্তা।

ইরানি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তেহরানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার পানির প্রয়োজন পড়ে।

এক বছর আগেও আমির কবির বাঁধে ৮ কোটি ৬০ লাখ ঘনমিটার পানি ছিল। কিন্তু তেহরান অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ প্রায় শতভাগ হ্রাস পেয়েছে।বেহজাদ পারসা, তেহরানে পানি সরবরাহ কোম্পানির পরিচালক

পানি সাশ্রয়ের পদক্ষেপ হিসেবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তেহরানের বেশ কয়েকটি এলাকায় বারবার সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। আর চলতি গ্রীষ্মে ঘন ঘন পানি সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘটনাও ঘটেছে।

জুলাই ও আগস্টে পানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য দুই দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ইরানে সে সময় তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রতিদিন একাধিকবার লোডশেডিং হয়েছে।

ওই দুই মাসে তেহরানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে, কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছুঁয়ে গিয়েছিল।

জুলাই ও আগস্ট মাসে তেহরানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে, কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২ ফারেনহাইট) ছুঁয়ে ছিল।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘আজ যেভাবে আলোচনা হয়েছে, পানিসংকট পরিস্থিতি তার চেয়েও গুরুতর।’

ইরানজুড়ে পানিসংকট একটি বড় সমস্যা, বিশেষ করে দেশের দক্ষিণের শুষ্ক প্রদেশগুলোতে। ভূগর্ভস্থ সম্পদ ব্যবহারে অব্যবস্থাপনা ও সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহারকে পানি ঘাটতির জন্য দায়ী করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে ভূমিকা রাখছে।

আরও পড়ুনপ্রচণ্ড গরমে পানির ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় ইরানিদের কম পানি ব্যবহারের আহ্বান২০ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ