চট্টগ্রামে সড়কে ফেলে যাওয়া ১০ টন চামড়া অপসারণ
Published: 8th, June 2025 GMT
দাম না পেয়ে কয়েক শ মৌসুমি বিক্রেতা চট্টগ্রাম নগরের সড়কে চামড়া ফেলে চলে গেছেন। এই চামড়া অপসারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের। গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রোববার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১০ টন চামড়া অপসারণ করা হয়েছে।
বিষয়টি প্রথম আলোকে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা আই ইউ এ চৌধুরী। তিনি বলেন, চামড়া সংরক্ষণে কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি। সারা শহরের সড়কে সড়কে মানুষ চামড়া ফেলে দিয়ে চলে গেছেন। চামড়াগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এতে অপসারণে হিমশিম খেতে হয়।
আই ইউ এ চৌধুরী বলেন, গতকাল রাত থেকেই চামড়া অপসারণের কাজ শুরু হয়। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০ টন চামড়া অপসারণ করা হয়েছে। ফলে দেশের বিপুল ক্ষতি হয়ে গেল। অনেক বড় বড় চামড়াও নষ্ট হয়েছে। আগে থেকে উদ্যোগ নিলে এই চামড়া রক্ষা করা যেত।
সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী, মৌসুমি বিক্রেতা ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরের চৌমুহনী, ইপিজেড, পতেঙ্গা, বহদ্দারহাট, আতুরার ডিপো, আন্দরকিল্লা, জামালখান, বাকলিয়া, চকবাজার, অক্সিজেনসহ বিভিন্ন এলাকা সড়কের ওপরই চামড়া ফেলে চলে যান মৌসুমি বিক্রেতারা। পরে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা গিয়ে এসব চামড়া অপসারণ করেছেন। আবার অনেক বিক্রেতা নিজেরাই মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন কেনা চামড়া।
আজ ১০ জন মৌসুমি বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। তাঁদের মধ্যে মাত্র দুজন বিক্রি করেছেন, তা-ও নামমাত্র দামে। বাকি আটজন বিক্রিই করতে পারেননি। মোহাম্মদ অপু ৩০টি বড় আকারের চামড়া কিনেছিলেন। দাম পড়ে ৫০০ টাকা। একটিও বিক্রি করতে পারেননি তিনি। অপু বলেন, ‘শুরুর দিকে ২৫০ টাকা দাম উঠেছিল। কিন্তু কয়েকজন বিক্রেতা অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন। দাম আরও বাড়ার কথা বলেন। এ কারণে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম। শেষে আর কেউ ১০০ টাকা দিয়েও নেয়নি। তাই সড়কে ফেলে চলে এসেছি। এ ব্যবসা আর করব না।’
দাম না পাওয়া বড় বিক্রেতা ও আড়তদারদের ওপর দায় চাপালেন মৌসুমি বিক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, আড়তদার ও বড় চামড়া ব্যবসায়ীরা যোগসাজশে দাম ধসিয়ে দিয়েছে। এ কারণে পথে বসেছেন তাঁর মতো আরও শতাধিক বিক্রেতা।
চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট এলাকা থেকে চামড়া অপসারণ করছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। আজ দুপুরে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মায় জেলের জালে ধরা পড়ল ১১ কেজির কাতল
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মা নদীতে ধরা পড়েছে ১১ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে উপজেলার চালা ইউনিয়নের দিয়াপাড় এলাকার মৎস্য শিকারী রাজ্জাকের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
মাছ ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা জানান, আজ সোমবার ভোরে আন্ধারমানিক আড়তের সুবাশ রাজবংশীর আড়তে মাছটি তোলেন রাজ্জাক। নিলামে মাছটি ১২ হাজার ৬০০ টাকায় কিনে নেন ব্যবসায়ী ইয়েমেল। তিনি মাছটি বলড়া বাজারে নিয়ে যান। সেখানে বলড়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের হাসান আলী ১৪ হাজার ৬০০ টাকায় মাছটি কিনে নেন।
আরো পড়ুন:
জেলের জালে ২ কেজির ইলিশ, ৬ হাজার টাকায় বিক্রি
আরাকান আর্মির ধাওয়ায় নাফ নদীতে ট্রলার ডুবি
আড়তদার হৃদয় রাজবংশী বলেন, “পদ্মা নদী থেকে সোমবার ভোরে কাতল মাছটি ধরেন রাজ্জাক। আজ সকালে আড়তে নিয়ে আসলে বলড়া বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ইয়েমেল মাছটি কিনে নেন।”
ইয়েমেল বলেন, “আজ সাড়ে ১১ কেজির কাতল মাছটি ১২ হাজার ৬০০ টাকায় কিনে সুলতানপুরের হাসান কাকার কাছে ১৪ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছি।”
হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নুরুল ইকরাম বলেন, “মানিকগঞ্জের পদ্মা নদীতে মাঝে মাঝে বড় বড় পাঙাশ, আইড়, কাতল, চিতল ও বোয়াল মাছ ধরা পড়ে। আজ বড় একটি কাতল মাছ ধরা পড়েছে।”
ঢাকা/চন্দন/মাসুদ