নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক নেতার ভাইসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের নতুন সুখচর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন।

আহত এএসআই অভিজিৎ বড়ুয়া ও কনস্টেবল সুজন কান্তি নাথকে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় বিএনপি নেতার ভাই, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। ছিনিয়ে নেওয়া ধর্ষণ মামলার আসামি মো.

মিরাজ উদ্দিনকে (৪০) আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাঁর সঙ্গে থাকা হাতকড়াও উদ্ধার হয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, রোববার রাতে এএসআই অভিজিৎ বড়ুয়া কনস্টেবল সুজনকে সঙ্গে নিয়ে নতুন সুখচর বাজারে যান। সেখানকার একটি ওষুধের দোকানের সামনে থেকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মিরাজ উদ্দিনকে আটক করেন।

পুলিশের দাবি, এ সময় স্থানীয় ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা মোশারফ হোসেনের ভাই মো. ইয়াছিন, ছাত্রদলের মো. নাছির, যুবদলের মনছুর ও বিএনপির কর্মী সরোয়ার পুলিশ কেন এসেছে জানতে চান। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে আরও ৩০-৪০ জন লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

পুলিশের ভাষ্য, আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে তাঁদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। পুলিশ সদস্যদের মারধরও করা হয়। এরপর মিরাজকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় কনস্টেবল সুজনের পকেট থেকে সাড়ে ১১ হাজার টাকা ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাঁরা ঘটনার পর থেকে পলাতক বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

বিষয়টি নিয়ে হাতিয়া উপজেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বর্তমানে উপজেলার কোথাও বিএনপির কোনো কমিটি নেই। ঘটনাটির বিস্তারিতও আমার জানা নেই। বিএনপি কখনো সহিংসতা প্রশ্রয় দেয় না। পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে।’

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতার ভাইসহ যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ধর্ষণ মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছেন। এতে এক এএসআইসহ দুজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

হাতিয়ায় পুলিশের ওপর হামলা করে ধর্ষণ মামলার আসামি ছিনতাই

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক নেতার ভাইসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের নতুন সুখচর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন।

আহত এএসআই অভিজিৎ বড়ুয়া ও কনস্টেবল সুজন কান্তি নাথকে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় বিএনপি নেতার ভাই, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। ছিনিয়ে নেওয়া ধর্ষণ মামলার আসামি মো. মিরাজ উদ্দিনকে (৪০) আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাঁর সঙ্গে থাকা হাতকড়াও উদ্ধার হয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, রোববার রাতে এএসআই অভিজিৎ বড়ুয়া কনস্টেবল সুজনকে সঙ্গে নিয়ে নতুন সুখচর বাজারে যান। সেখানকার একটি ওষুধের দোকানের সামনে থেকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মিরাজ উদ্দিনকে আটক করেন।

পুলিশের দাবি, এ সময় স্থানীয় ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা মোশারফ হোসেনের ভাই মো. ইয়াছিন, ছাত্রদলের মো. নাছির, যুবদলের মনছুর ও বিএনপির কর্মী সরোয়ার পুলিশ কেন এসেছে জানতে চান। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে আরও ৩০-৪০ জন লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

পুলিশের ভাষ্য, আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে তাঁদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। পুলিশ সদস্যদের মারধরও করা হয়। এরপর মিরাজকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় কনস্টেবল সুজনের পকেট থেকে সাড়ে ১১ হাজার টাকা ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাঁরা ঘটনার পর থেকে পলাতক বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

বিষয়টি নিয়ে হাতিয়া উপজেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বর্তমানে উপজেলার কোথাও বিএনপির কোনো কমিটি নেই। ঘটনাটির বিস্তারিতও আমার জানা নেই। বিএনপি কখনো সহিংসতা প্রশ্রয় দেয় না। পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে।’

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতার ভাইসহ যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ধর্ষণ মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছেন। এতে এক এএসআইসহ দুজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ