চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ কিশোরের মৃত্যু, বিএনপির প্রতিবাদ
Published: 11th, June 2025 GMT
চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ এক কিশোর মোহাম্মদ আরিফের (১৫) মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তাকে ছাত্রদল কর্মী উল্লেখ করে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।
গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিটি করপোরেশন ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের হাটহাজারী থানার সন্দ্বীপ কলোনি এলাকায় গুলিতে আহত হয় আরিফ। সে ওই এলাকার ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে এবং কলোনি ইউনিট ছাত্রদলের একজন কর্মী ছিল। এ ঘটনার জন্য নিহত কিশোরের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন ‘সন্ত্রাসী’ মোহাম্মদ সুমন ও তাঁর ভাই ভুট্টো জড়িত বলে অভিযোগ করে তাঁদের বিচার দাবি করছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্দ্বীপ কলোনিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ‘ভুট্টো-সুমন’ ও ‘সাখাওয়াত’ নামে দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সুমন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড শাখার সভাপতি এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। সাখাওয়াত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হিসেবে পরিচিত। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর সুমন গ্রেপ্তার হলেও আবার জামিনে বেরিয়ে আসেন। এরপর সন্দ্বীপ কলোনির পাহাড়ি এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসীকে নিরাপদ আশ্রয় দেন সুমন। যাতে পাহাড়ি খাসজায়গা তাঁর দখলে থাকে। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর সুমন ও তাঁর বাহিনীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় একটি রাজনৈতিক দল।
রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সশস্ত্র লোকজন নিয়ে কলোনিতে আসেন সুমন। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁদের ধাওয়া দেন স্থানীয় লোকজন। ওই সময় ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে তাঁরা পালিয়ে যান। এর মধ্যে একটি গুলি এসে লাগে আরিফের পেটে। পরে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পর কলোনিতে সুমনের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ ঘটনায় ব্যবহৃত একটি অটোরিকশা উদ্ধার করে।
নিহত আরিফের বড় ভাই আলাউদ্দিন তাঁর ভাইকে গুলি করে মারার পেছনে সুমনকে দায়ী করে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী অঞ্চল) কাজী মো. তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, গুলিবিদ্ধ আরিফ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল কজন
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।