হবিগঞ্জের লাখাইয়ে থানা থেকে আসামি ছাড়ানোকে কেন্দ্র করে বামৈ পূর্বগ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে লাখাই উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফকরুল ইসলাম থানা থেকে এক আসামিকে ছাড়াতে যান। এ সময় বাধা দেন বামৈ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আজাদ হোসেন ফুরুক। এ ঘটনায় দুইজনের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। এর জের ধরে দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে মহিবুর, নাছির, লিটন, জুনাইদ, রুবেল, রুমান, মুজাহিদ, সাইফুল, তাজুল ইসলাম, রিফাত, শাহ আলম, মাইন মিয়াসহ অন্তত ৪০ জন আহত হন। আহতদের হবিগঞ্জ সদর ও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে লাখাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফকরুল ইসলাম বলেন, লাখাই থানা পুলিশ কাজিমুল নামে এক আসামিকে না পেয়ে তার মা হারুনা বেগমকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। তার মা আসামি না হওয়ায় তাকে ছাড়িয়ে আনতে যাই। এ সময় চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন ফুরুক তাকে না ছাড়তে চাপ প্রয়োগ করেন। এ নিয়ে কাথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

বামৈ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আজাদ হোসেন ফুরুক বলেন, লাখাই উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফকরুল ইসলাম থানা থেকে আসামি ছাড়িয়ে আনতে গেলে আমি এর প্রতিবাদ করি। পরে তার লোকজন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।

লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

বন্দে আলী জানান, থানায় আসামি ছাড়ানোকে কেন্দ্র করে লাখাই উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আজাদ হোসেন ফুরুকের কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমরা উভয়পক্ষকে শান্ত করি ও তাদের মধ্যে সমাধানের কথা বলি। কিন্তু দুইপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আজ দ হ স ন ফ র ক র ল কজন ল ইসল ম স ঘর ষ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

উড়োজাহাজে তীব্র ঝাঁকুনিতে মনে হচ্ছিল, আর বুঝি দেশে ফেরা হবে না

ছবি: লেখক

সম্পর্কিত নিবন্ধ