জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পার্কের ওয়াচ-টাওয়ার থেকে সুইমিংপুলে লাফ দেওয়ার ঘটনায় ইমতিয়াজ হোসেন আকুল মিয়া নামে এক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে সাতপোয়া এলাকায় স্বপ্নীল পার্কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আকুল মিয়া সাতপোয়া গ্রামের সামছুল হকের ছেলে। তিনি সরিষাবাড়ী পৌর ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে সাতপোয়া এলাকার স্বপ্নীল পার্কে ঘুরতে যান আকুল মিয়া। ঘোরাফেরার এক পর্যায়ে বন্ধুদের অগোচরে পার্কের ওয়াচ-টাওয়ার থেকে পানিতে লাফ দেন তিনি। পরে বন্ধুরা খোঁজাখুঁজি করে তাঁকে না পেয়ে পার্কের ওয়াচ-টাওয়ারের কাছে সুইমিংপুলে খোঁজ নেন। এ সময় পানিতে ডুবে থাকতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

পার্কের মালিক রহুল আমিন সেলিম জানান, পার্কে দর্শনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রাখা হয়। নিয়ম ভঙ্গ করে এভাবে পানিতে লাফ দেওয়া ঠিক হয়নি। তিনি বলেন, ‘নিহত আকুলের বড় ভাই আমার পার্কে কমর্রত আছেন। তবে ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি।’

উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আকুল মিয়া ছাত্রদলের একজন নিবেদিত কর্মী ছিলেন। তাঁর অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’

সরিষাবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান জানান, ঘটনার বিষয়ে দেরিতে সংবাদ পেয়েছেন তারা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

দৌলতদিয়া ঘাটে বেড়েছে ঢাকাগামী যাত্রীর চাপ

স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। শুক্রবার দুপুর থেকে কর্মস্থল ফেরা মানুষের চাপ শুরু হয় দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে। সময় বাড়ার সাথে সাথে বিকেল নাগাদ যাত্রীদের ঢল নামে দৌলতদিয়া ঘাটে। মানুষের বাড়তি চাপ থাকলেও নেই কোনো ভোগান্তি।

শুক্রবার বিকেলে ফেরি ও লঞ্চঘাট ঘুরে দেখা যায়, যাত্রী হয়রানি বন্ধে ঘাট এলাকায় কাজ করছে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এছাড়াও রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ সময় ঢাকাগামী যাত্রী মেহেদী হাসান বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় ঘাটে যাত্রীদের ভোগান্তি নেই বললেই চলে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ঘাটে এসে সরাসরি ফেরিতে উঠে যেতে পাড়ছে।

ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসা গোল্ডেন লাইন পরিবহনের সুপারভাইজার মো. নাসির হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকেই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রীর চাপ কমেছে। এ বছর নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি চলাচল করায় ঘাটে এক মিনিটও দাঁড়িয়ে থাকতে হয়নি।

দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার মিলন মিয়া বলেন, কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ সামাল দিতে এই নৌরুটে মোট ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। কোনো লঞ্চে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন বা বাড়তি ভাড়া নেওয়া না হয়; সেজন্য জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা তদারকি করছেন।

বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। নদীর দৌলতদিয়া প্রান্তে তিনটি ঘাট সচল আছে। ছুটি শেষের দিক হওয়ায় যাত্রীর চাপও বেড়েছে। তবে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়া যাত্রী-সাধারণকে পারাপার করা সম্ভব হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ