আব্বার সঙ্গে শেষ স্মৃতিটা কোনো দিন ভুলতে পারব না
Published: 14th, June 2025 GMT
আমার তখন কত বয়স মনে নেই। আব্বার সঙ্গে আমি আর আমার মেজ বোন (সীমা খাতুন) হাটে গিয়েছি। আব্বা আমাদের রসগোল্লা কিনে খাওয়ালেন। হাট থেকে একটা নতুন জামা কিনে দিলেন। পথে পানি ছিল। ফেরার সময় আব্বা আমাকে কাঁধে নিলেন। আর নতুন জামাটা আমার বোনের হাতে দিলেন। বাড়ি ফিরে জামাটা আর কোথাও পাওয়া গেল না। জামাটা মিষ্টির দোকানে রেখে এসেছে, নাকি হাটের অন্য কোথাও ফেলে এসেছে, নাকি পানি পার হওয়ার সময় তার হাত থেকে পড়ে গেছে, কিছুতেই আমার বোন মনে করতে পারল না। বাবা খুব মন খারাপ করলেন। বোনকে বকাবকি করলেন। বাবার সঙ্গে একবারে ছোটবেলার এ স্মৃতিটাই মনে আছে।
বড় হতে হতে আরও কত স্মৃতি জমা পড়ল। আব্বা নদীতে মাছ ধরেন। আমি তাঁর জন্য সকালে খাবার নিয়ে যাই। এত বড় নদীতে আব্বা কোথায় মাছ ধরেন, পাড় থেকে বোঝা যায় না। এ জন্য নদীর পাড়ে গিয়েই ‘আব্বা, আব্বা’ বলে ডাকতাম। এক দিক থেকে ডাকতে ডাকতে আরেক দিকে যেতাম। ডাক শুনে একসময় মাঝনদী থেকে পাড়ে চলে আসতেন আব্বা।
বড় হওয়ার পরে যখন ফোন হলো তখন নদীর ঘাটে গিয়ে আর ডাকতাম না, আব্বাকে ফোন করতাম। আর মাছ মারা শেষ হলে আব্বা যখন নদী থেকে উঠে আসতে চাইতেন তখন আমাকে ফোন করে ডাকতেন। আমি জালগুলো মাথায় করে নিয়ে আসতাম। জালের ওজন ছিল ১৫ কেজির মতো। আমি জালটা মাথায় নিলে আব্বার বোঝাটা কমত।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কামরাঙ্গীরচরে বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলে খুন
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে রাহাবুল ইসলাম (২৫) নামের এক হোটেল কর্মচারি খুন হয়েছেন। শনিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কামরাঙ্গীরচর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ লুৎফর রহমান বলেন, কামরাঙ্গীরচর থানাধীন ঝাউচর এলাকায় হোটেল কর্মচারি রাহাবুল খুন হয়েছেন। পারিবারিক বিরোধের জেরে রাহাবুলকে তার বাবা জুয়েল রানা খুন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এ দিকে নিহত রাহাবুলের মামা হুমায়ুন বলেন, তার বোন শাহানাজ কাজের সূত্রে জর্ডানে থাকেন। তার ভাগনে রাহাবুল এবং বোনের স্বামী জুয়েল রানা কামরাঙ্গীরচরের যাউচর এলাকায় একটি হোটেলে কাজ করতেন। শনিবার রাতে পারিবারিক বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাত করে রাহাবুলকে হত্যা করেন বোনের স্বামী।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত জুয়েল রানাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কি কারণে ছেলেকে বাবা হত্যা করেছেন সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।