সিলেটের জাফলংসহ দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবাহী এলাকাগুলোতে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকো-ট্যুরিজম) উন্নয়নে একটি সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, পাথর উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত শ্রমজীবী মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করাই এই মহাপরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য।

আজ শনিবার দুপুরে জাফলং এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। এ সময় পাথর কোয়ারির শ্রমিকরা তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানান।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের মধ্যে সমন্বয় করে প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।

রিজওয়ানা বলেন, জাফলং একটি পরিবেশগতভাবে বিপন্ন এলাকা। এখানে পাথর উত্তোলনের জন্য আর কোনো ইজারা দেওয়া হবে না। অতিরিক্ত পাথর ও বালু উত্তোলনের কারণে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে পুরো নদীব্যবস্থাকে হুমকিতে ফেলছে।

জাফলংয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় ওই এলাকার স্টোন ক্রাশারগুলোও সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, অবৈধভাবে কেউ যাতে পাথর উত্তোলন করতে না পারে, তা নিশ্চিত করা হবে। জাফলংয়ের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমরা কোনো আপস করব না।

পরিদর্শনের সময় দুই উপদেষ্টা জাফলংয়ের নদী ও পাথরভরা প্রাকৃতিক এলাকা জলযানে ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিবেশ ও পর্যটন উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় করেন। তারা জাফলং স্টোন মিউজিয়াম ও হরিপুর রেস্ট হাউজ এলাকায় গাছের চারা রোপণ করেন।

পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো.

সাইফুল ইসলাম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, জেলা প্রশাসক মো. শের মাহবুব মুরাদ, পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব শ উপদ ষ ট উপদ ষ ট পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস

পুঁজিবাজারে ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস লিমিটেডের পরিচালনার পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।

বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ সভায় সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তথ্য মতে, লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ৩০ ডিসেম্বর হাইব্রড সিস্টেমে অনুষ্ঠিত হবে। আর এ জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ ডিসেম্বর।

২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.০৩ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৭৮ টাকা।

এদিকে কোম্পানিটির ঋণাত্মক শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে (৪৩.৪৪) টাকা হয়েছে। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ঋণাত্মক শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল (১৪.৫০) টাকা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩.২৭ টাকায়।

এই করপোরেট ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেনের কোনো মূল্য সীমা থাকবে না।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ