নওমি ক্যাম্পবেল। বিখ্যাত ব্রিটিশ ফ্যাশন মডেল, অভিনেত্রী ও গায়িকা। কিংবদন্তি এই সুপারমডেলের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার থেকে অনুপ্রেরণামূলক কথা তুলে এনেছেন ইমাম হোসেন মানিক
লন্ডনে আমার জন্ম। অন্যদিকে ৪ বছর বয়স পর্যন্ত বেড়ে উঠেছি রোমে। তারপর আবার লন্ডন ফিরে এসে স্কুলে ভর্তি হই। আমি আসলে সাউথ লন্ডনের মেয়ে। এখনও সময় পেলে সেখানে ছুটে যাই; বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করি। বেথ বোল্ড নামের এক নারীর কারণে মডেলিংয়ে আসা আমার। তিনিও মডেল ছিলেন। মেয়েদের ছবি তুলতে ভালোবাসতেন তিনি। একবার স্কুলের ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় আমার ছবিও তুললেন। তারপর থেকেই মডেলিংয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায় আমার।
বয়স যখন ১৬
১৯৮০ দশকের মধ্যকালে, আমি যখন মডেলিং শুরু করি, তখন যে মেয়েরা র্যাম্প শোর মডেল হতো। তারা র্যাম্পেই হাঁটত। যারা ম্যাগাজিনের ফটোশুটের মডেল হতো, তারা সে কাজটিই করত। আমাদের সময়ে এসে বিষয়টি পাল্টে গেল। আমরা এমন কিছু ডিজাইনারের সংস্পর্শ পেলাম, যাদের সঙ্গে স্টিল ও র্যাম্প– উভয় মাধ্যমেরই যোগাযোগ ছিল। তখন মাত্র লন্ডন আর প্যারিসে মডেলিং করেছি। এ সময়ে ‘আমেরিকান ভোগ’ ম্যাগাজিন থেকে ফটোশুটের প্রস্তাব পেলাম। আমার বয়স তখন ১৬। আমেরিকায় কাউকেই চিনতাম না। শুটে এসে আমার সামনে একটি নতুন দুনিয়ার দরজা খুলে গেল।
আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও প্যাসোনেট
অনেকেই বলে, ‘লক্ষ্য অর্জনের আগ পর্যন্ত লক্ষ্যটি অর্জন হয়ে গেছে– এমন ভনিতা করো।’ আমি বরং বলি, আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও প্যাসোনেট; আর নিজে যা করব বলে স্থির করি একবার, সেটির শেষ দেখে ছাড়ি। যদি কোনো কিছু অজানা থাকে, তাহলে সরাসরি সেটি জানতে চাই। কারও কাছে কিছু জানতে চাওয়াটা কোনোদিনই ঝামেলার বা দোষের বলে মনে হয়নি আমার। লোকজন আমাকে জিজ্ঞেস করে, ‘রানওয়েতে কখনও নার্ভাস বোধ করো? তোমাকে দেখে তো মনে হয় না।’ আমি বলি, হ্যাঁ, করি। যখন আমি ছুটিতে থাকি, আর সবার মতো আমিও হুল্লোড় করে, সাঁতার কেটে, দৌড়-ঝাঁপ করে সময়টা উপভোগ করি। তারপর ছুটি ফুরোলে, ডুবে যাই কাজে। চুপচাপ বসে থাকার মতো মানুষ আসলে আমি নই।
সরাসরি ডিজাইনারের সঙ্গে.
আমি যখন মডেলিং শুরু করেছিলাম, তখন কাঙ্ক্ষিত ডিরেক্টর কিংবা স্টাইলিস্ট বলে কেউ ছিল না। সরাসরি ডিজাইনারের সঙ্গে কাজ করতে হতো আমাদের। ফলে পারস্পরিক একটি গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল মডেল আর ডিজাইনারদের মধ্যে। কাজ না থাকলে, সবাই মিলে একসঙ্গে ঘুরতে বের হতাম। জানি, কাজের প্রক্রিয়া এখন বদলে গেছে। তবে এভাবেই এগোতে চাই আমি। কেননা চমৎকার কিছু ডিজাইনার আর তুখোড় কিছু ফটোগ্রাফারের সান্নিধ্যে থাকার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। ছিলেন অসাধারণ কিছু ফ্যাশন এডিটরও। ফলে যখনই কোনো খটকা লাগত, তাদের সঙ্গে আলাপ করে নিয়ে, সেই ফারাকটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি
জনসেবামূলক কাজে, কোনো আওয়াজ না দিয়েই প্রায় ২০ বছর কাটিয়েছি আমি। কেননা এমনটা আমি মানুষের স্তুতি পাওয়ার জন্য করিনি; বরং করেছি ভেতরের তাগিদ থেকে। এরপর এমনতর কাজ সম্পর্কে নিজের কনসেপ্টটা বদলে নিতে চাইলাম আরও বেশি মানুষের কাছাকাছি পৌঁছানোর তাগিদে। এ কারণে এখন টিভিতে অনুষ্ঠান করি। যদিও টিভি সম্পর্কে আমার ব্যাপক ভীতি রয়েছে। কমপক্ষে ১০ বছর ধরে ফিরিয়েও দিয়েছিলাম টিভির যে কোনো প্রস্তাব। নিজ জীবনের ব্যক্তিগত ঘটনা কিংবা কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি না আমি। কেননা আমার বিশ্বাস, প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা সুরক্ষিত রাখা উচিত। আমি যা করি, ভালোবেসেই করি। এটিই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আমি মনে করি, কোনো কাজের প্রতি যদি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি না জন্মায়, তাহলে সেই কাজটি হাতে নেওয়া ঠিক নয়। n
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড জ ইন র
এছাড়াও পড়ুন:
রাঙামাটিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবক নিহত
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে আব্দুল হাকিম (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৫ জুন) বেলা পৌনে ১২টার দিকে ইউনিয়নের ফুলতলি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মংক্য মারমা এ তথ্য জানান। কে বা কারা কেন এই যুবককে হত্যা করেছে সে সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
নিহত আব্দুল হাকিম রাখাইল ইউনিয়নের খন্তাকাটা ঘোনিয়াখোলা এলাকার মৃত বাহার আলীর ছেলে।
আরো পড়ুন:
নরসিংদীতে তিন গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১
বগুড়ায় আসামির ছুরিকাঘাতে ২ পুলিশ আহত
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, আজ সকাল সাড়ে ১১টার পর ৯-১০ জন অস্ত্রধারী ফুলতলি গ্রামে যান। তারা আব্দুল হাকিমকে লক্ষ্য করে ৫ থেকে ৬ রাউন্ড গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই আব্দুল হাকিম মারা যান।
চন্দ্রঘোনা থানার ওসি (তদন্ত) ইমরুল হাসান বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়রা পুলিশকে কোনো তথ্য দিচ্ছে না। কে বা কারা কেন এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।”
ঢাকা/শংকর/মাসুদ