ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের প্লে-অফের ফাইনালে হামজা চৌধুরীর শেফিল্ড ইউনাইটেড খেলেছিল কিউবা মিচেলের সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে। হামজার দলকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে উঠেছে মিচেলের সান্ডারল্যান্ড। সেই ম্যাচের বাইরে আরও অনেক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে হামজা-মিচেলের মধ্যে। 

গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়া হামজা চৌধুরী তো এখন দেশের ফুটবলের বড় তারকা। ইতোমধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। 

এ মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশি হয়ে যাওয়া কিউবা মিচেল অপেক্ষায় আছেন লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়ানোর। তার আগে হামজার কাছ থেকে জেনেছেন বাংলাদেশের ফুটবল উন্মাদনার বিষয়টি। 

সান্ডারল্যান্ডের স্থানীয় পত্রিকা ম্যাকেম নিউজের সঙ্গে আলাপে এ মিডফিল্ডার বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে হামজা চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং ওর প্লে-অফ ফাইনাল ও বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছি। ওখানে সমর্থন দারুণ রকমের, তাই আমি দারুণ রোমাঞ্চিত। সেখানে গিয়ে খেলতে আর দেখতে চাই, শুধু এটি থেকেই আর কী কী দরজা খুলে যায়।’

গত ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের কয়েক দিন আগেই ফিফা থেকে অনুমোদন পান কিউবা মিচেল। সবকিছু ঠিক থাকলে পুরোদমে বাংলাদেশি হয়ে যাওয়া ইংল্যান্ডপ্রবাসী এ ফুটবলারের সেপ্টেম্বরে ফিফা উইন্ডো কিংবা অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে। কিউবা মিচেলও বাংলাদেশের হয়ে খেলতে উন্মুখ হয়ে আছেন। 

প্রিমিয়ার লিগে ওঠায় সান্ডারল্যান্ড নিজেদের শক্তি বাড়াতে চায়। সেই জন্য কিউবা মিচেলের মতো একাডেমির অনেক ফুটবলারকে ছেড়ে দিয়েছে ক্লাবটি। মিচেলের বিশ্বাস, প্রাক্-মৌসুমের মধ্যেই নতুন ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন। 

তাঁর চোখ আপাতত অক্টোবরের দিকে, ‘এ মুহূর্তে (ট্রান্সফার উইন্ডোতে) সবকিছুই বেশ শান্ত। তবে প্রি-সিজনে আমার কিছু সুযোগ রয়েছে, যেগুলো আমি কাজে লাগাতে চাই। গত কয়েক সপ্তাহে আমার বাংলাদেশের হয়ে খেলার কথা ছিল। রেজিস্ট্রেশন কয়েক ঘণ্টা দেরি হয়ে গিয়েছিল, তাই এখন অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শুধু অভিজ্ঞতার দিক থেকে, বাংলাদেশের হয়ে খেলা হবে জীবনে একবারই ঘটার মতো কিছু। খুব বেশি খেলোয়াড় এই সুযোগ পায় না, বিশেষ করে যারা মূল দলে বেশি সময় খেলেনি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

রাজকীয় ভোজে ট্রাম্প–মেলানিয়াকে কী কী খাওয়ালেন রাজা চার্লস

জমকালো সাজে সেজেছে যুক্তরাজ্যের উইন্ডসর ক্যাসলের সেন্ট জর্জেস হল। উপলক্ষটাও অনন্য, রাজকীয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সস্ত্রীক যুক্তরাজ্য সফর উপলক্ষে এখানে রাজকীয় নৈশ্যভোজ আয়োজন করেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলা।

বুধবার রাতের রাজকীয় এ আয়োজনে কূটনীতি, খাবার, ঐতিহ্য, সংগীত আর আভিজাত্য একসুতোয় বাঁধা পড়েছিল। ট্রাম্প–মেলানিয়াসহ রাজার অতিথি হয়েছিলেন বিশ্বের ১৬০ জন গণমান্য ব্যক্তি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্মানে রাজা তৃতীয় চার্লসের আয়োজন করা রাজকীয় ভোজের টেবিল। যুক্তরাজ্যের উইন্ডসর ক্যাসলের সেন্ট জর্জেস হল, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ