হামজার কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে যা জেনেছেন কিউবা
Published: 17th, June 2025 GMT
ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের প্লে-অফের ফাইনালে হামজা চৌধুরীর শেফিল্ড ইউনাইটেড খেলেছিল কিউবা মিচেলের সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে। হামজার দলকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে উঠেছে মিচেলের সান্ডারল্যান্ড। সেই ম্যাচের বাইরে আরও অনেক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে হামজা-মিচেলের মধ্যে।
গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়া হামজা চৌধুরী তো এখন দেশের ফুটবলের বড় তারকা। ইতোমধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
এ মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশি হয়ে যাওয়া কিউবা মিচেল অপেক্ষায় আছেন লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়ানোর। তার আগে হামজার কাছ থেকে জেনেছেন বাংলাদেশের ফুটবল উন্মাদনার বিষয়টি।
সান্ডারল্যান্ডের স্থানীয় পত্রিকা ম্যাকেম নিউজের সঙ্গে আলাপে এ মিডফিল্ডার বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে হামজা চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং ওর প্লে-অফ ফাইনাল ও বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছি। ওখানে সমর্থন দারুণ রকমের, তাই আমি দারুণ রোমাঞ্চিত। সেখানে গিয়ে খেলতে আর দেখতে চাই, শুধু এটি থেকেই আর কী কী দরজা খুলে যায়।’
গত ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের কয়েক দিন আগেই ফিফা থেকে অনুমোদন পান কিউবা মিচেল। সবকিছু ঠিক থাকলে পুরোদমে বাংলাদেশি হয়ে যাওয়া ইংল্যান্ডপ্রবাসী এ ফুটবলারের সেপ্টেম্বরে ফিফা উইন্ডো কিংবা অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে। কিউবা মিচেলও বাংলাদেশের হয়ে খেলতে উন্মুখ হয়ে আছেন।
প্রিমিয়ার লিগে ওঠায় সান্ডারল্যান্ড নিজেদের শক্তি বাড়াতে চায়। সেই জন্য কিউবা মিচেলের মতো একাডেমির অনেক ফুটবলারকে ছেড়ে দিয়েছে ক্লাবটি। মিচেলের বিশ্বাস, প্রাক্-মৌসুমের মধ্যেই নতুন ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
তাঁর চোখ আপাতত অক্টোবরের দিকে, ‘এ মুহূর্তে (ট্রান্সফার উইন্ডোতে) সবকিছুই বেশ শান্ত। তবে প্রি-সিজনে আমার কিছু সুযোগ রয়েছে, যেগুলো আমি কাজে লাগাতে চাই। গত কয়েক সপ্তাহে আমার বাংলাদেশের হয়ে খেলার কথা ছিল। রেজিস্ট্রেশন কয়েক ঘণ্টা দেরি হয়ে গিয়েছিল, তাই এখন অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শুধু অভিজ্ঞতার দিক থেকে, বাংলাদেশের হয়ে খেলা হবে জীবনে একবারই ঘটার মতো কিছু। খুব বেশি খেলোয়াড় এই সুযোগ পায় না, বিশেষ করে যারা মূল দলে বেশি সময় খেলেনি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।