সূচক ও লেনদেনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির পরদিন গতকাল মঙ্গলবার দেশের শেয়ারবাজারে উল্টো চিত্র দেখা গেছে। কমেছে বেশির ভাগ শেয়ারের দর, সূচক ও লেনদেন। তবে এ নিয়ে এখনই হতাশ না হওয়ার কথা বলছেন বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা।
গতকাল ঢাকার শেয়ারবাজার ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির মধ্যে ৬৫টির দর বাড়ার বিপরীতে কমেছে ২৫৬টির দর। তালিকাভুক্ত ৩৭ মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র একটির, কমেছে ১৬টির। লেনদেন হওয়া বাকি ৫৪ শেয়ার ও ফান্ডের দর ছিল অপরিবর্তিত।
বেশির ভাগ শেয়ারের দর কমায় প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৪৪ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৭৩৯ পয়েন্টে নেমেছে। অথচ সোমবার বেশির ভাগ শেয়ারের দর বাড়ায় সূচকটি বেড়েছিল ৫৯ পয়েন্ট।
গত ২৯ মে থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত সাত কর্মদিবসের মধ্যে ছয় দিনে সূচক প্রায় ১৯৩ পয়েন্ট বেড়েছিল। মাঝে ৪ জুন বেশির ভাগ শেয়ার দর হারানোয় সূচকটি ২৪ পয়েন্ট হারিয়েছিল। অর্থাৎ দুই দিনের পতনের পরও সর্বশেষ আট কর্মদিবসে সাকল্যে সূচক ১২৪ পয়েন্ট বেড়েছে।
শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্টরা জানান, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কমবেশি উদ্বেগ আছে। বিশ্ব শেয়ারবাজারে দর পতন এ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। আবার জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে সম্ভাব্য সময় ঠিক হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের কেউ কেউ দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পরিকল্পনা করছেন বলে জানা যাচ্ছে। অর্থাৎ মিশ্র প্রভাব আছে নানা ইস্যুর।
এমন প্রেক্ষাপটে আগের দিনের তুলনায় ১০৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা কমে ডিএসইর লেনদেন কমে ৩১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকায় নেমেছে। একক কোম্পানি হিসেবে লাভেলোর ২৩ কোটি টাকার, বিচ্হ্যাচারির ১১ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র শ য় রব জ র ল নদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ভবিষ্যতের এআই নিয়ে বিল গেটসের ভাবনা
মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস পাঁচ দশক ধরে আলোচিত প্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব। মাইক্রোসফটকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সফল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার পাশাপাশি বিশ্বের নানা প্রান্তের বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনসংক্রান্ত গবেষণার বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন বিল গেটস। দীর্ঘ পেশাগত জীবনে বেশ কয়েকবার প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি। সম্প্রতি বিল গেটস সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভবিষ্যতের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নিয়ে বেশ কিছু চমকপ্রদ ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বিল গেটসের মতে, ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি মানুষকে আরও ভালোভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিলেও সতর্ক থাকতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক পরিবর্তন খুব দ্রুত আসবে, যে কারণে সবাইকে তৈরি থাকতে হবে।
বিল গেটস জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তি মানুষের দৈনন্দিন কিছু কাজ কমিয়ে দেবে। তবে মানুষ আর প্রযুক্তি দুনিয়া প্রস্তুত না থাকলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে নতুন সমস্যা তৈরি হতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনও আসবে। এই প্রযুক্তি মানুষকে আরও ভালো কাজ করতে বা আরও বেশি সময় ছুটি কাটাতে সুযোগ করে দেবে।
আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা (এজিআই) সম্পর্কে বিল গেটস জানান, এআইয়ের উন্নত একটি রূপ এজিআই। এই প্রযুক্তি বিক্রয় বা গ্রাহক সহায়তার মতো জটিল কাজ মানুষের চেয়ে ভালোভাবে করতে পারে। এজিআই মানুষের কাছে ভিন্ন জিনিস হলেও একবার যখন মেশিন এজিআই বুঝে যাবে তখন কম খরচে আরও নির্ভুলভাবে বিভিন্ন কাজ করা যাবে। তখন একটি বড় পরিবর্তন হবে।
আরও পড়ুননিজের যে সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্ত বিল গেটস২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এআই প্রযুক্তি দ্রুতগতির পরিবর্তন দেখে বেশ অবাক বিল গেটস। তাই তিনি নিজে কঠিন সব বিষয় বোঝার জন্য এআইকেন্দ্রিক বিভিন্ন টুল ব্যবহার করেন। তরুণদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিল গেটস জানান, তরুণদের কৌতূহলী হতে হবে। বিভিন্ন এআই টুলের ব্যবহার শিখতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও সেই চলার পথে বাধা আসার আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
আরও পড়ুনযে পেশা ছাড়া প্রায় সব এআই দখল করে নেবে০২ এপ্রিল ২০২৫