জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরিবহন সংকট নিরসনে তিন দফা দাবি জানিয়েছে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ। 

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চলমান সংকট তুলে ধরে সংগঠনটির পক্ষ থেকে পরিবহন পরিচালকের কাছে একটি লিখিত আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়।

সংগঠনটির দেওয়া আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছেড়ে যায় মাত্র দুটি শাটল বাস। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য অপ্রতুল। এই সময়ে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে শিক্ষার্থীদের ধাক্কাধাক্কি, ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত এবং মানসিক চাপে পড়তে হয়। বিষয়টি নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

আরো বলা হয়েছে, শুধু দুপুর নয়, সার্বিকভাবে জবির বর্তমান পরিবহন ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। সকাল, দুপুর কিংবা বিকেলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বাস না থাকায় শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিকল্প যানবাহন ব্যবহার করছেন। এতে অনেকের জন্য অর্থনৈতিক চাপ তৈরি হচ্ছে।

ছাত্র অধিকার পরিষদ তাদের আবেদনপত্রে তিনটি প্রধান দাবি উত্থাপন করে। দাবিগুলো হলো- দুপুর দেড়টায় অতিরিক্ত অন্তত দুটি শাটল বাস চালু করা, মোট বাস সংখ্যা শিক্ষার্থীর অনুপাতে যথাযথভাবে বাড়ানো এবং পরিবহন ব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদি একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনায় পরিবহনের সংখ্যা খুবই সীমিত। এতে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তির পাশাপাশি নিরাপত্তারও সংকট তৈরি হয়েছে। নতুন প্রশাসনের কাছে আমরা উদ্যোগের প্রত্যাশা করলেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”

তিনি বলেন, “আমরা আজ লিখিতভাবে আমাদের দাবি জানিয়েছি। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ আরো বাড়বে।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকাবাসীর কাছে ছাত্রদলের অগ্রীম দুঃখ প্রকাশ

শাহবাগে আগামীকাল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ছাত্র সমাবেশ ঘিরে সৃষ্টি হতে যাওয়া জনদুর্ভোগের জন্য রাজধানীবাসীর প্রতি অগ্রীম দুঃখ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

শনিবার (২ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত বিবৃতির মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছে ছাত্রদল। 

বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, গত জুন মাসে তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে। এবং এর শুরুতেই ৩ আগস্ট জাতীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এ জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে অনুমতি নেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃবৃন্দ একই দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ করার বিষয়ে তাদের জানায়। এ কারণে একটি উদার, গণতান্ত্রিক, পরমতসহিঞ্চু, সকল মত ও পথের সহাবস্থানে বিশ্বাসী ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রদল শহীদ মিনারে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে শাহবাগে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়।  

আরো পড়ুন:

নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ করায় ছাত্রদল সভাপতিকে ‘মিথ্যাবাদী’ বললেন উপাচার্য

জুলাই ডকুমেন্টরিতে ‘ফুটেজ’ না থাকায় জাবি ছাত্রদল নেতার প্রতিবাদ

ব্যস্ত রাজধানীতে কর্মদিবসে সমাবেশের জনভোগান্তি সম্পর্কে ছাত্রদল অবগত জানিয়ে তারা বিবৃতিতে বলে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এই গুরুত্বপূর্ণ স্মরণীয় দিনটিতে আমাদের ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির বৃহৎ ঐক্যের স্বার্থে বৃহত্তম ছাত্রসংগঠন হিসেবে দায়িত্বশীলতা ও উদারতার জায়গা থেকে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আগামীকালের যে কোন ধরনের জনদুর্ভোগের জন্য অগ্রীম দুঃখ প্রকাশ করছি। প্রত্যাশা করছি, সম্মানিত নগরবাসী বিষয়টি সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করবেন। 

দায়িত্বশীল ছাত্রসংগঠন হিসেবে ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও অধিকতর সচেতন থাকার কথাও বিবৃতিতে জানানো হয়।  

ঢাকা/রায়হান/ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ
  • মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএস প্রোগ্রাম, আবেদন শেষ ৫ আগস্ট
  • জকসু নির্বাচনের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি
  • চবিতে বিপ্লবী ছাত্র ঐক্যের আত্মপ্রকাশ
  • ঢাকা ওয়াসার আগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল, নতুনটির আবেদন শেষ কাল
  • ছাত্র সমাবেশ ঘিরে জনদুর্ভোগের জন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ ছাত্রদলের
  • রাকসু নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় যারা
  • ঢাকাবাসীর কাছে ছাত্রদলের অগ্রীম দুঃখ প্রকাশ