জবিতে পরিবহন সংকট নিরসনে ছাত্র অধিকারের ৩ দাবি
Published: 19th, June 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরিবহন সংকট নিরসনে তিন দফা দাবি জানিয়েছে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চলমান সংকট তুলে ধরে সংগঠনটির পক্ষ থেকে পরিবহন পরিচালকের কাছে একটি লিখিত আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়।
সংগঠনটির দেওয়া আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছেড়ে যায় মাত্র দুটি শাটল বাস। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য অপ্রতুল। এই সময়ে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে শিক্ষার্থীদের ধাক্কাধাক্কি, ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত এবং মানসিক চাপে পড়তে হয়। বিষয়টি নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আরো বলা হয়েছে, শুধু দুপুর নয়, সার্বিকভাবে জবির বর্তমান পরিবহন ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। সকাল, দুপুর কিংবা বিকেলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বাস না থাকায় শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিকল্প যানবাহন ব্যবহার করছেন। এতে অনেকের জন্য অর্থনৈতিক চাপ তৈরি হচ্ছে।
ছাত্র অধিকার পরিষদ তাদের আবেদনপত্রে তিনটি প্রধান দাবি উত্থাপন করে। দাবিগুলো হলো- দুপুর দেড়টায় অতিরিক্ত অন্তত দুটি শাটল বাস চালু করা, মোট বাস সংখ্যা শিক্ষার্থীর অনুপাতে যথাযথভাবে বাড়ানো এবং পরিবহন ব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদি একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনায় পরিবহনের সংখ্যা খুবই সীমিত। এতে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তির পাশাপাশি নিরাপত্তারও সংকট তৈরি হয়েছে। নতুন প্রশাসনের কাছে আমরা উদ্যোগের প্রত্যাশা করলেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”
তিনি বলেন, “আমরা আজ লিখিতভাবে আমাদের দাবি জানিয়েছি। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ আরো বাড়বে।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মেহেরপুর জেলা পরিষদের শিক্ষাবৃত্তি, এসএসসিতে জিপিএ ৪.৮০ প্রয়োজন
মেহেরপুর জেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল হতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এ জেলার অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হবে। জেলা পরিষদের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা—
১. আবেদনকারী ছাত্রছাত্রীদের অবশ্যই মেহেরপুর জেলার স্থায়ী বাসিন্দা এবং সরকার অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে।
২. আবেদনকারী ছাত্রছাত্রীকে ২০২৪ ও ২০২৫ সালের অনুষ্ঠিত এসএসসি বা এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০২৫ সালের অনুষ্ঠিত এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৪.৮০ থাকতে হবে।
শিক্ষাবৃত্তির আবেদন—
১. আবেদনপত্রের নমুনা ফরম ওয়েবসাইট অথবা জেলা পরিষদ, মেহেরপুরের কার্যালয় হতে সংগ্রহ করা যাবে।
২. নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র ১২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখের অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে সরাসরি অথবা ডাকযোগে জেলা পরিষদ, মেহেরপুরের কার্যালয়ে পৌঁছাতে হবে।
৩. আবেদনপত্রের নির্ধারিত তারিখের পরে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।
৪. অসম্পূর্ণ, ত্রুটিযুক্ত বা নির্ধারিত সময়ের পরে প্রাপ্ত আবেদনপত্র সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হবে।
আবেদনের সঙ্গে যা লাগবে—
১. আবেদনপত্রের সঙ্গে মূল মার্কশিটের সত্যায়িত ফটোকপি, সম্প্রতি তোলা এক কপি পাসপোর্ট ও এক কপি স্ট্যাম্প সাইজের সত্যায়িত ছবি, নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানপ্রধানের সুপারিশ ও প্রত্যয়নপত্র, নাগরিকত্ব সনদের মূল কপি এবং অভিভাবকের আয়ের উৎস ও বার্ষিক আয়বিষয়ক প্রত্যয়নপত্র (প্রথম শ্রেণির গেজেটেড অফিসার কর্তৃক স্বাক্ষরিত) অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে।
২. আবেদনপত্র নিজ হাতে পূরণ করতে হবে।
# আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ: ১২ অক্টোবর ২০২৫ ।
*বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট