এমআইটি মিডিয়া ল্যাবের গবেষকেরা যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনের ১৮-৩৯ বছর বয়সী ৫৪ জনকে নিয়ে একটি পরীক্ষা চালিয়েছেন। তাঁরা এই ব্যক্তিদের তিনটি দলে ভাগ করে কয়েকটি প্রবন্ধ লিখতে বলেছিলেন। প্রথম দলের সদস্যরা প্রবন্ধ লিখতে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছেন। দ্বিতীয় দল গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করেছেন এবং তৃতীয় দলের সদস্যরা প্রবন্ধগুলো লিখেছেন কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়াই। গবেষকেরা ইইজি (ইলেক্ট্রোএনসেফ্যালোগ্রাম) মেশিন দিয়ে তাঁদের মস্তিষ্কের ৩২টি অংশের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করেছেন। ইইজি মেশিন দিয়ে সাধারণত মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ রেকর্ড করা হয়।

ফলাফল দেখে অবাক হয়েছেন স্বয়ং গবেষকেরা। তাঁদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাজ। কারণ, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের মস্তিষ্কে সবচেয়ে কম কার্যকলাপ দেখা গেছে। স্নায়বিক, ভাষাগত ও আচরণগত—সব দিক থেকেই দুর্বল পারফরম্যান্স করেছেন তাঁরা। এই পরীক্ষা চলেছে কয়েক মাস ধরে। যাঁরা চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছেন, তাঁরা ধীরে ধীরে আরও অলস হয়ে গেছেন। শেষের দিকে তাঁরা কেবল কপি-পেস্ট করেই কাজ সেরেছিলেন।

এআই চ্যাটবটগুলোর ওপর এমআইটি মিডিয়া ল্যাবের চালানো নতুন গবেষণার দৃশ্যায়ন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ পিএনএস সাইফ

চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ পিএনএস সাইফ। শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছালে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের পক্ষ থেকে চিফ স্টাফ অফিসার জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বাগত জানান। এ সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদক দল ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী ব্যান্ড পরিবেশন করে।

জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ নৌবাহিনীর স্থানীয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা স্বাধীনতা তাদের অভ্যর্থনা জানায়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশে অবস্থানকালে জাহাজটির অধিনায়ক, অন্যান্য কর্মকর্তাসহ একটি প্রতিনিধিদল কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল, কামান্ডার বিএন ফ্লিট, এরিয়া সুপারিনটেনডেন্ট ডকইয়ার্ডের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবে। চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলে অবস্থানকালে জাহাজের অফিসার, নাবিক ও প্রশিক্ষণার্থীরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান, নৌবাহিনীর জাহাজ ও ঘাঁটি পরিদর্শন করবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকেরাও পাকিস্তানের জাহাজটি পরিদর্শন করবেন।

পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজের বাংলাদেশ সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, শুভেচ্ছা সফর শেষে জাহাজটি ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ