আন্দোলনরত ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা সরকারকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডে জাতীয় মহিলা সংস্থার সম্মেলন কক্ষে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্য আপাদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, ‘তোমরা যে সরকারের থেকে এত সাহায্য চাইছো, সেই সরকারকে বিব্রত করা থেকে শুরু করে, কোণঠাসা করা, ব্ল্যাকমেইল করা– সবই করছো। এটাকে বলে ব্ল্যাকমেইল।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। তারা এখনও বেকার হয়নি। আলোচনার দরজা খোলা আছে। তারপরও রাস্তায় দিনের পর দিন আন্দোলন করার ফলে সরকার বিব্রত হচ্ছে। এই আন্দোলনে বিগত সরকারের সুবিধাভোগী অনেকে ঢুকে পড়েছে, যারা সরকারকে হয়রানি করতে চাচ্ছে।’ আন্দোলনকে রাজনীতিকীকরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন উপদেষ্টা। 

তথ্য আপাদের দুই দফা দাবির বিষয়ে শারমিন মুরশিদ বলেন, ‘এই প্রতিশ্রুতি (রাজস্ব খাতে পদ সৃষ্টি করে স্থায়ীকরণ) আমি দিতে পারি না। এর সঙ্গে অনেক মন্ত্রণালয় জড়িত। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।’ আন্দোলন প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তোমরা রাস্তায় থেকো না, আমি অনুরোধ করছি।’ এ সময় চাকরির বিধিবিধান মেনে চলার বিষয়ে সতর্ক করেন উপদেষ্টা।

আলোচনায় অংশ নেওয়া তথ্য আপা প্রকল্পের প্রতিনিধি সঙ্গীতা সরকার বলেন, ‘উপদেষ্টা আমাদের আলোচনায় ডেকে তার সিদ্ধান্ত আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে বিদায় করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। কিন্তু তিনি কোনো নিশ্চয়তা দেননি। আমরা ২৩ দিন ধরে রাস্তায়। আমাদের দুই দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’

আলোচনাকালে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং তথ্য আপা প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্তরা উপস্থিত ছিলেন। তথ্য আপা প্রকল্পকে রাজস্ব খাতে নিয়ে কর্মকর্তাদের চাকরি স্থায়ী করা এবং পাওনা বেতন ফিরিয়ে দিতে ২৩ দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচির পালন করছেন তথ্য আপারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট প রকল প র উপদ ষ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

উপশহরের শ্মশানের মতো নির্জন

রোদ ঘন হয়ে আসছে

রোদ ঘন হয়ে আসছে, সেই গাঢ়ত্বে হেঁটে বেড়ানো শালিকের দুপুর—
এখন উপশহরের শ্মশানের মতো নির্জন।

সুন্দর বিষণ্নতায় হেলে পড়ছে সূর্য, সমুদ্রের ঢেউ ছাড়া সব চুপচাপ। শিশির শুকিয়ে যাওয়ার সময় যে অন্ধ লোকটি সেতারা বাজাত, চোখভর্তি কুয়াশা নিয়ে সে বসেছে চোখ ফিরে পাওয়ার আরাধনায়। যে তরুণ পাখির খামার করতে চেয়েছিল অরণ্যে, সে এখন অজস্র ঝরে যাওয়া পাতা, উড়ে যাওয়া পাতা।

বদলে যাচ্ছে সব, তুষার ও বরফের মধ্যবর্তী তাপমাত্রা হয়ে বসে আছি।

রোদ ঘন হয়ে আসছে, নতুন অতিথি দিয়ে ভরে যাচ্ছে আমার শ্মশান।

তিন বা তেরো বছর পর

তুমি শুয়ে রবে, পাশে শিশুর ত্বকের ঘ্রাণে আমি বিস্মৃত হলে—
চোখের মতো দুটো আগুনের জাহাজ ডুবে যাবে অবিশ্বস্ত বরফে।

সংসার কখনোই ক্ষমা করবে না।

সুখের শেকলে একদিন টের পাবে,
কত দূরে চলে গেছো চিবুক ছেড়ে। পুরুষের বুকের ভেতর প্রতিদিন মিথ্যা মিথ্যা ঘুম—
ঘুমের গভীরে জেগে উঠে মানচিত্র এঁকে নেবে শীতের।

নকশিকাঁথার মতো দুঃখকে আলগোছে টেনে নিয়ে গায়ে;
তিন বা তেরো বছর পর টের পাবে,
আমার শীতের শিশিরে ডুবে গেছে তোমার দ্বিধান্বিত সবুজ পা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ