সাভারের জিরাবতে অবস্থিত সামাজিক কনভেনশন সেন্টারে ২৭ ও ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে ইউনূস সেন্টার ও গ্রামীণ গ্রুপ আয়োজিত ১৫তম ‘সোশ্যাল বিজনেস ডে ২০২৫’। এ বছরের প্রতিপাদ্য: সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে সবচেয়ে কার্যকর পথ হলো সামাজিক ব্যবসা।

জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গির এই মিলনমেলায় থাকছে পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন এবং আটটি ব্রেকআউট সেশন। আয়োজনটির উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসহ বিবিধ খাতে বৈষম্য ও সীমাবদ্ধতা দূর করে একটি টেকসই, ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক মূল্যবোধের ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

প্রায় ২৫টি দেশের ১৮০ জনের বেশি বিদেশিসহ সহস্রাধিক অতিথি দুই দিনব্যাপী আয়োজনটিতে অংশ নেবেন। এতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শতাধিক বক্তা সামাজিক ব্যবসা বিষয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময় করবেন।

এর মধ্যে অন্যতম হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণবিষয়ক সহকারী মো.

সাইদুর রহমান; ইন্টেল করপোরেশনের সাবেক বোর্ড চেয়ারম্যান এবং মেডট্রনিকের সাবেক সিইও ও চেয়ারম্যান ওমর ইশরাক; বিশ্বব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসমাইল সেরাজেল্ডিন; নরওয়ের সাবেক পরিবেশ ও জলবায়ুমন্ত্রী এবং সাবেক পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক নির্বাহী পরিচালক এরিক সোলহেইম।

প্রধান অতিথি ও মূল বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

এ আয়োজনের ধারাবাহিকতায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় ২৯ জুন অনুষ্ঠিত হবে ‘একাডেমিয়া ডায়ালগ’। যেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের অংশগ্রহণে সমাজের সামগ্রিক প্রসারে সামাজিক ব্যবসার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হবে। এরপরই অনুষ্ঠিত হবে ‘থ্রি জিরো ক্লাব কনভেনশন’, যেখানে আলোচনা হবে, কীভাবে পৃথিবীতে কার্বন নিঃসরণ, সম্পদ ঘনীভূতকরণ ও বেকারত্বকে ‘জিরো’ করে ফেলা যায়।

আয়োজনটিতে অংশগ্রহণে আগ্রহীরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন লিংকে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেবেন কীভাবে

আজ থেকে সব করদাতাকে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে হবে। দেশের প্রায় ১ কোটি ১২ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। করযোগ্য আয় থাকলে টিআইএনধারীদের রিটার্ন দিতে হয়।

গত বছর থেকে নির্দিষ্ট এলাকার অধিক্ষেত্রের ব্যক্তি করদাতা, সারা দেশের ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এবং কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়। গতবার ১৭ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দেন।

এবার দেখা যাক কীভাবে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেবেন।

কোথায় দেবেন

সব করদাতা ২০২৫-২৬ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন।

অনলাইনে রিটার্ন জমার আগে প্রথমে করদাতাকে নিবন্ধন নিতে হবে। নিবন্ধন নিতে করদাতার নিজের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নম্বর লাগবে। এ দুটি দিয়ে নিবন্ধন করে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। অনলাইনে রিটার্ন জমা দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাপ্তি রসিদ মিলবে।

কীভাবে দেবেন

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন তথা ই-রিটার্ন দিতে করদাতাকে কোনো কাগজপত্র আপলোড করতে বা জমা দিতে হবে না। শুধু ওই সব দলিলাদির তথ্য দিলেই হবে। যেমন সনাতনি পদ্ধতিতে চাকরিজীবীদের আয়ের বা বেতন-ভাতার প্রমাণপত্র হিসেবে ব্যাংক হিসাবের এক বছরের লেনদেন বিবরণী (স্টেটমেন্ট) জমা দিলেই চলবে। আগের বছরের ১ জুলাই থেকে পরের বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত (অর্থবছর) সময়ের ব্যাংক হিসাবের স্থিতি, সুদের তথ্য ও ব্যাংক হিসাবের নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে।

কীভাবে কর দেবেন

করদাতারা ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদ অথবা অন্য কোনো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাপ ব্যবহার করে ঘরে বসেই কর পরিশোধ করে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হলে তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের জন্য রাজস্ব বোর্ডের কর্মীরা কল সেন্টার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদান করবেন।

যেসব দলিলের তথ্য প্রয়োজন

রিটার্ন জমার সময় নিজের প্রয়োজন অনুসারে কিছু কাগজপত্রের তথ্য লাগবে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস থেকে এসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করতে হবে। যেসব কাগজপত্রের লাগবে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বেতন খাতের আয়ের দলিল, সিকিউরিটিজের ওপর সুদ আয়ের সনদ, ভাড়ার চুক্তিপত্র, পৌরকরের রসিদ, বন্ধকি ঋণের সুদের সনদ, মূলধনি সম্পদের বিক্রয় কিংবা ক্রয়মূল্যের চুক্তিপত্র ও রসিদ, মূলধনি ব্যয়ের আনুষঙ্গিক প্রমাণপত্র, শেয়ারের লভ্যাংশ পাওয়ার ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট, সুদের ওপর উৎসে কর কাটার সার্টিফিকেট।

বিনিয়োগ করে কর রেয়াত পেতে চাইলেও কিছু কাগজপত্র লাগবে। যেমন জীবনবিমার কিস্তির প্রিমিয়াম রসিদ, ভবিষ্য তহবিলে দেওয়া চাঁদার সনদ, ঋণ বা ডিবেঞ্চার, সঞ্চয়পত্র, শেয়ারে বিনিয়োগের প্রমাণপত্র, ডিপোজিট পেনশন স্কিমে (ডিপিএস) চাঁদার সনদ, কল্যাণ তহবিলের চাঁদা ও গোষ্ঠী বিমার কিস্তির সনদ, জাকাত তহবিলে দেওয়া চাঁদার সনদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে হেড-নেক ক্যানসার নিরাময় সম্ভব
  • অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেবেন কীভাবে
  • চিকুনগুনিয়ার ছোবল: সতর্ক না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে
  • যেভাবে ভারতের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছিল পাকিস্তান