চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল ২ জনের
Published: 20th, June 2025 GMT
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে পৃথক ঘটনায় দুটি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে নারীসহ ২ জন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা (৬০) ও পশ্চিম সাইতাঁড়া গ্রামের গফুর শাহ পাড়ার এন্তাজুল হকের ছেলে জিয়াবুর রহমান (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে পঞ্চগড়গামী ‘বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস’ ট্রেন স্টেশনে প্রবেশের সময় জিয়াবুর রহমান ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আঞ্জুমান আরা রেলওয়ে ষ্টেশনের পাশের রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় পার্বতীপুরগামী দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
দিনাজপুর রেলওয়ে পুলিশের এসআই রায়হান আলী বলেন, নিহত দুজনের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ও আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা হান্নান মাসউদের
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ অনুষ্ঠানে বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ। অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনের ১৫৮ জন সমন্বয়কের সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি অভিযোগ করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সোমবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি।
পোস্টে হান্নান লিখেছেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে দাওয়াতের কার্ড পেলাম। শুনেছি এই সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের লেজিটিমেট বডি ১৫৮ জন সমন্বয়ক, সহ-সমন্বয়ককে দাওয়াত দিতে পারেনি, হয়তো কতগুলা আসন বসাবে কিন্তু ১৫৮ জনের জন্য জায়গা হবে না।”
তিনি আরো লেখেন, “জানি না এই চেয়ারগুলোতে শহীদ পরিবারের জায়গা হবে কি না! যাদের সাহসিকতা আর নেতৃত্বে এই অভ্যুত্থান আর এই সরকারের কাছে, বছর না পেরোতেই তারা মূল্যহীন। আমার সহযোদ্ধা, যারা মৃত্যুকে পরোয়া না করে হাসিনার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে—তারা এবং সকল শহীদ পরিবার তাদের প্রাপ্য সম্মান না পেলে, আমি আব্দুল হান্নান মাসউদ ব্যক্তিগতভাবে আগামীকালকের জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রোগ্রাম বর্জন করার ঘোষণা দিচ্ছি।”
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
প্রেস উইং থেকে জানানো হয় হয়, আজ বিকেল ৫টায় সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, জুলাই শহীদ পরিবারের প্রতিনিধি ও আহত যোদ্ধাদের উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা। পাশপাশি, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা/ইভা