ইসরায়েলে তেহরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, হাইফায় বড় বিস্ফোরণ
Published: 21st, June 2025 GMT
ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর হাইফায় বড় বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছে স্থানীয়রা।
দিনের বেলা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কবার্তার পর রাতে হাইফায় বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেল। এতে কমপক্ষে দুইজন আহত হয়েছেন। খবর দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হাইফায় একটি ভবন আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। অন্য ভিডিওতে দেখা গেছে, শহরের বিস্ফোরণের স্থান থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী বেরিয়ে আসছে।
ইসরায়েলের চিকিৎসা পরিষেবা সূত্র বলছে, দুইজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬ বছর বয়সী এক বালক আছে, যার অবস্থা গুরুতর। আর ৫৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তির শরীরে গুলি লেগেছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কে মার্কিন গোয়েন্দাদের মূল্যায়নের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেন, তেহরান ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যে’ একটি কার্যকর অস্ত্র তৈরি করতে পারে।
ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের কূটনৈতিক সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
ফেনীতে নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে পড়ে ফয়সাল ফারাবী (৯) ও সাখাওয়াত হোসেন (৮) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২০ জুন) রাত ৯টার দিকে পৌরসভার পশ্চিম ছাগলনাইয়ার সাত মন্দির রোড এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু ফয়সাল ফারাবী ছাগলনাইয়ার পাঠাননগর ইউনিয়নের পূর্ব শিলুয়া গ্রামের কাতারপ্রবাসী ইকবাল হোসেনের ছেলে এবং সাখাওয়াত হোসেন ছাগলনাইয়ার ঘোপাল ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের দুবাইপ্রবাসী সামছুল হকের ছেলে। তারা পরিবার নিয়ে সাত মন্দির রোডের শেখ ভবনের একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকত।
ছাগলনাইয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন রাশেদ বলেন, ‘‘শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে দুই শিশু খেলতে বের হয়। অনেকক্ষণ ফিরে না আসায় স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে পাশের নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর তাদের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।’’
এসআই সালাউদ্দিন রাশেদ আরও বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খেলার সময় অসাবধানতাবশত সেপটিক ট্যাংকে পড়ে গিয়ে শিশু দুটির মৃত্যু হয়। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভবনটির নির্মাণকাজ চলমান থাকলেও নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না। সেপটিক ট্যাংকের মুখ খোলা ছিল, সেখানে কোনো ঢাকনা বা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছিল না।
হঠাৎ এমন হৃদয়বিদারক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুই শিশুর মৃত্যুর খবরে তাদের পরিবার ও প্রতিবেশীরা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছেন।
ঢাকা/সাহাব/টিপু