ফেনীতে ভাঙা বেড়িবাঁধের সংস্কারকাজ শুরু
Published: 21st, June 2025 GMT
ফেনীর মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ মেরামতে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বণিকপাড়া গ্রাম এলাকায় ২০ মিটার ভাঙা অংশে সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে।
পাউবো-ফেনীর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, ভারী বর্ষণ বন্ধ থাকায় ও নদীতে পানি কমায় মুহুরী নদীর ২০ মিটার ভাঙন অংশ মেরামতে জিও ব্যাগ ও বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অংশে ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। বৃষ্টি ন হলে আজ শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে ভাঙন অংশের মেরামতকাজ শেষ হবে। তিনি আরও বলেন, পাশের সিলোনিয়া নদীর বাঁধের যে অংশে ভেঙেছে, সেটি সংস্কারে নদীর পানি কমার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। গোসাইপুর অংশে ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করতে কয়েক দিন সময় লাগবে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বণিকপাড়া গ্রামের সহদেব বৈদ্যের বাড়ি-সংলগ্ন মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের একটি স্থান ও সিলোনীয়া নদীর গোসাইপুর এলাকা অংশে বাঁধ ভেঙে যায়। এতে উপজেলার ৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়। গ্রামগুলো হলো উত্তর বড়ইয়া, দক্ষিণ বড়ইয়া, বিজয়পুর, বণিকপাড়া, বসন্তপুর, জগৎপুর, গোসাইপুর, করইয়া, নীলাক্ষী।
ফুলগাজীর উত্তর বড়ইয়া গ্রামের বাসিন্দা মরণ চন্দ্র জানান, তাঁর বাড়িসংলগ্ন মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ঘরে গত বৃহস্পতিবার রাতে পানি ঢুকে। এতে ঘরের মালামালসহ বিভিন্ন জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে। গতকাল রাত থেকে ঘরের পানি নামতে শুরু করেছে। বাঁধের স্থায়ী সংস্কার না হলে ভাঙা অংশ দিয়ে আবারও পানি ঢুকে ঘর প্লাবিত হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা কবির আহমেদ বলেন, প্রতিবছর বর্ষাকালে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মুহুরী, কহুয়া, সিলোনিয়া নদীর মাটির বেড়িবাঁধ বিভিন্ন স্থানে ভেঙে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। পাউবো শুধু দায়সারাভাবে জোড়াতালি দিয়েই দায়িত্ব শেষ করে। এ অঞ্চলের মানুষ তিনটি নদীর বেড়িবাঁধের স্থায়ী সমাধান চায়।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহরিয়া ইসলাম বলেন, বাঁধের সংস্কারের দায়িত্ব পাউবোর। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তদারকি করা হচ্ছে। পাউবোকে বলা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের অংশগুলো শনাক্ত করে দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া জন্য।
পাউবো ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো.
আজ শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ফেনীতে। আগামী কয়েক দিন ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান ফেনী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (উচ্চমান সহকারী) মজিবুর রহমান। দুপুর পর্যন্ত মুহুরী নদীতে পানি ছিল ৯ মিটার। এই নদীর বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ভারী বর্ষণ বন্ধ থাকায় ও পাহাড়ি ঢলের চাপ না থাকায় মুহুরী নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে অধিকাংশ বাড়িঘর ও গ্রামীণ সড়ক থেকে পানি নেমে গেলেও নিম্নাঞ্চলে এখনো পানি জমে রয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম র মত নদ র ব উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
উপশহরের শ্মশানের মতো নির্জন
রোদ ঘন হয়ে আসছে
রোদ ঘন হয়ে আসছে, সেই গাঢ়ত্বে হেঁটে বেড়ানো শালিকের দুপুর—
এখন উপশহরের শ্মশানের মতো নির্জন।
সুন্দর বিষণ্নতায় হেলে পড়ছে সূর্য, সমুদ্রের ঢেউ ছাড়া সব চুপচাপ। শিশির শুকিয়ে যাওয়ার সময় যে অন্ধ লোকটি সেতারা বাজাত, চোখভর্তি কুয়াশা নিয়ে সে বসেছে চোখ ফিরে পাওয়ার আরাধনায়। যে তরুণ পাখির খামার করতে চেয়েছিল অরণ্যে, সে এখন অজস্র ঝরে যাওয়া পাতা, উড়ে যাওয়া পাতা।
বদলে যাচ্ছে সব, তুষার ও বরফের মধ্যবর্তী তাপমাত্রা হয়ে বসে আছি।
রোদ ঘন হয়ে আসছে, নতুন অতিথি দিয়ে ভরে যাচ্ছে আমার শ্মশান।
তুমি শুয়ে রবে, পাশে শিশুর ত্বকের ঘ্রাণে আমি বিস্মৃত হলে—
চোখের মতো দুটো আগুনের জাহাজ ডুবে যাবে অবিশ্বস্ত বরফে।
সংসার কখনোই ক্ষমা করবে না।
সুখের শেকলে একদিন টের পাবে,
কত দূরে চলে গেছো চিবুক ছেড়ে। পুরুষের বুকের ভেতর প্রতিদিন মিথ্যা মিথ্যা ঘুম—
ঘুমের গভীরে জেগে উঠে মানচিত্র এঁকে নেবে শীতের।
নকশিকাঁথার মতো দুঃখকে আলগোছে টেনে নিয়ে গায়ে;
তিন বা তেরো বছর পর টের পাবে,
আমার শীতের শিশিরে ডুবে গেছে তোমার দ্বিধান্বিত সবুজ পা।