প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকে আশার আলো দেখছে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
Published: 21st, June 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে বৈঠকের পর নির্বাচন নিয়ে বিএনপি আশার আলো দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আশা রাখছি সামনের বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একটা নির্বাচন হবে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গত ১০ মাসে বাংলাদেশে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তাতে আমরা একটু সন্দিহান হয়ে পড়েছিলাম যে শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াবে। আমরা অত্যন্ত অনুপ্রাণিত হয়েছি, আশ্বস্ত হয়েছি। যখন আমরা দেখলাম এ আন্দোলনের প্রধান দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস একটা সভা করলেন। সভায় তাঁরা কতগুলো বিষয়ে একমত হলেন। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের সকলের কাছে আশা সামনে এনে দিয়েছে। আশা রাখছি সামনের ফেব্রুয়ারি মাসে একটা নির্বাচন হবে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের আশাগুলো পূরণের সুযোগ হবে।’
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘তাঁরা শুরু করেছেন, নিঃসন্দেহে তাঁরা ইতিমধ্যে অনেক কাজ করেছেন এবং ভালো কাজ করছেন, আমাদের পথ দেখাচ্ছেন। আমরা আশা করব, যে সকল রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ছিলাম, সবাই মিলে তাঁদের সহযোগিতা করব।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এখন সংস্কারকাজ এগিয়ে চলেছে, কতগুলো বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি, কতগুলো বিষয়ে একমত হচ্ছে না। যতগুলো বিষয়ে আমরা একমত হব, সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করব। আর যেগুলোতে একমত হওয়া যাচ্ছে না, সেগুলো নিয়ে নির্বাচনের পর সংসদে আমরা আলোচনা করব। সেগুলোতে আমরা একমত হব।’ শুধু কথা বা আলোচনার মাধ্যমে সংস্কারের এই বিশাল কাজ সম্ভব হয় না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
আগামীকাল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। সে প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই তরুণদের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাঁদের নেতৃত্ব আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট ব এনপ র ল ইসল ম আম দ র ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
তেজগাঁও স্টেশন রোডের বাড়িতে ‘নায়ক আলমগীর’কে আবিষ্কারের গল্প
চলচ্চিত্র ৫৩ বছর পার হতে চলল চিত্রনায়ক আলমগীরের। এখন অবশ্য অভিনয়ের চেয়ে নিজের ব্যবসায় বেশি সময় দিয়ে থাকেন। তবে চলচ্চিত্র–সংশ্লিষ্ট কাজে তাঁর উপস্থিতি থাকে ঠিকই। চলচ্চিত্রে ৫৩ বছর পার করে আসা এই নায়কের শুরুটা একটু অন্য রকম। পরিচালক তাঁর বাড়িতে গিয়ে খোঁজ পেয়েছিলেন, এক ফেসবুক পোস্টে এমনটাই জানালেন আলমগীরের সংগীতশিল্পী মেয়ে আঁখি আলমগীর। নিজেদের পুরোনো বাড়ির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে বাবার নায়ক হওয়ার গল্পটাও জানিয়ে দিলেন আঁখি।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘আমার জন্মভূমি’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় চিত্রনায়ক আলমগীরের। আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ছবিটি ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায়। ছবিতে আরও অভিনয় করেন রাজ্জাক, কবরী, সুমিতা দেবী প্রমুখ। আলমগীরের বাবা কলিম উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে দুদু মিয়া ছিলেন ঢালিউডের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’–এর অন্যতম প্রযোজক। ১৯৮৫ সালে ‘মা ও ছেলে’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন আলমগীর। বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ আজীবন সম্মাননা পদক পাওয়ার রেকর্ড নায়ক আলমগীরেরই রয়েছে। পরিচালক হিসেবেও পরিচিত তিনি। ১৯৮৬ সালে তিনি প্রথম ‘নিষ্পাপ’ নামের একটি সিনেমা নির্মাণের মধ্য দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তাঁর পরিচালনায় নির্মিত সর্বশেষ সিনেমা হচ্ছে ‘একটি সিনেমার গল্প’।
চিত্রনায়ক বাবা আলমগীরের সঙ্গে দুই মেয়ে আঁখি আলমগীর ও মেহরুবা আহমেদ তুলতুল এবং ছেলে তাসভীর আহমেদ