উত্তরের দেশগুলোর মধ্যে ক্রিকেটকে এখনও অলিম্পিকের মতো দূর অস্ত মনে হলেও কানাডা যেন তাদের পুরনো পরিচিতি বদলে দিচ্ছে একটু একটু করে। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে দলটি। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইংল্যান্ডের মতো ক্রিকেট দানবদের সঙ্গে।
ক্রিকেট ইতিহাসে কানাডার নাম খুব একটা উজ্জ্বল না হলেও আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে তাদের পারফরম্যান্স ছিল চোখধাঁধানো। বাহামাসের বিপক্ষে জয় ছিল শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। সেখানে ৫৭ রানে প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দিয়ে ৫.
পেস আক্রমণে দাপট দেখান কালিম সানা ও শিবম শর্মা। দুজনই ৩টি করে উইকেট নেন। এরপর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ১৪ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচের গতিপথ মুহূর্তে বদলে দেন দিলপ্রীত বাজওয়ার।
আরো পড়ুন:
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬: সূচি ও ভেন্যু ঘোষণা
নিখিলস কিরটনের নেতৃত্বে কানাডা কেবল এই ম্যাচে নয়, পুরো বাছাইপর্বেই ছিল একেবারে অপ্রতিরোধ্য। বারমুডা, কেম্যান আইল্যান্ডস, বাহামাস— প্রতিটি প্রতিপক্ষই যেন অসহায় ছিল তাদের পরিকল্পনার সামনে।
এই জয়ে তারা পাঁচ ম্যাচে পূর্ণ ১০ পয়েন্ট নিয়ে নিশ্চিত করেছে বিশ্বকাপের টিকিট। ২০২৬ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় আসর। আয়োজক দুই দেশের সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগ দিয়েছে আরও ১১টি দল। আর কানাডা তাদের সঙ্গেই পূর্ণ সদস্য হিসেবে নয়, কিন্তু সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েই জায়গা করে নিল মূল পর্বে।
বাকি ৭টি দলের ভাগ্য নির্ধারিত হবে অন্যান্য অঞ্চলের বাছাই থেকে। ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া থেকে উঠে আসবে আরও কিছু স্বপ্নবাজ দল—যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলবে।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ট য় ন ট ব শ বক প ব শ বক প র
এছাড়াও পড়ুন:
এ বছরই কি আসছে ভাঁজযোগ্য আইফোন, চূড়ান্ত প্রস্তুতি কত দূর
অ্যাপলের বহুল প্রতীক্ষিত ভাঁজযোগ্য বা ফোল্ডেবল আইফোন বাজারে আসতে আর বেশি দেরি নেই। যন্ত্রটির ডিসপ্লে–সংক্রান্ত চূড়ান্ত স্পেসিফিকেশন এরই মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে ২০২৫ সালের শেষভাগেই শুরু হতে পারে এর উৎপাদন।
অ্যাপলবিষয়ক বিশ্লেষক মিন চি কুও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় জানিয়েছেন, অ্যাপলের দীর্ঘদিনের উৎপাদন সহযোগী ফক্সকন ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের শেষ দিকে বা চতুর্থ প্রান্তিকের শুরুতে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করতে পারে। সময় হিসেবে তা আগস্ট থেকে নভেম্বরের মধ্যবর্তী। এর আগে চলতি বছরের মার্চে কুও প্রথম জানান, ফোল্ডেবল আইফোনের বাজারে আসার সম্ভাব্য সময় ২০২৬ সাল। তখন তিনি বলেন, যন্ত্রটি আইফোন ১৮ সিরিজের সঙ্গেই উন্মোচিত হতে পারে। সর্বশেষ হালনাগাদেও তিনি পূর্বাভাসটি দিয়েছেন। তবে এটিও স্পষ্ট করেছেন, এখনো সব পরিকল্পনা পরিবর্তনশীল। ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে এ পর্যায়ে যে অগ্রগতি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তা হলো, এর ডিসপ্লের স্পেসিফিকেশন চূড়ান্ত করা হয়েছে। কুওর তথ্য অনুযায়ী, এই ডিসপ্লে তৈরি করবে স্যামসাং ডিসপ্লে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৬ সালের জন্য বছরে ৭০ থেকে ৮০ লাখ ইউনিট ফোল্ডেবল প্যানেল উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
কেবল ডিসপ্লেই নয়, ফোল্ডেবল আইফোনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের অনেক কিছুই এখনো নির্ধারিত হয়নি। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত উপাদান হচ্ছে হিঞ্জ, যা ফোনটিকে ভাঁজ করার মূল প্রযুক্তিগত অংশ। প্রযুক্তিবাজারে এই যন্ত্রাংশ নিয়ে আগ্রহ অনেকদিন ধরেই রয়েছে। ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে গুঞ্জন নতুন নয়। এক দশকের বেশি সময় ধরে অ্যাপলের এমন একটি যন্ত্র তৈরির খবর প্রযুক্তি মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক তথ্যগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান এবার সত্যিই হতে চলেছে।
মার্চ মাসে প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ম্যাশেবলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনেও ফোল্ডেবল আইফোনের সম্ভাব্য স্পেসিফিকেশন ও নকশা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। কুওর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অ্যাপল ইতিমধ্যে ১ কোটি ৫০ লাখ থেকে ২ কোটি ইউনিট ফোল্ডেবল আইফোনের প্রাথমিক অর্ডার দিয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, ২০২৭ ও ২০২৮ সালে অ্যাপল প্রতিবছর কয়েক মিলিয়ন ইউনিট করে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করেছে। তবে দাম যে সাশ্রয়ী হবে না, সেটাও আগেভাগেই জানিয়েছেন তিনি। ফোল্ডেবল আইফোনের সম্ভাব্য মূল্য নিয়ে কুও বলেন, এটি হবে ‘টাওয়ারিং’ বা অত্যধিক উচ্চমূল্যের একটি পণ্য।
সূত্র: ম্যাশেবল