বৈচিত্র্যপূর্ণ আর রসাল সব মৌসুমি ফলের সমারোহ ঘটে এ সময়। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ইত্যাদি রসাল ফল শুধু সুস্বাদুই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এগুলো পানি, খাদ্য-আঁশ ও প্রাকৃতিক চিনিরও উৎস। সব মিলিয়ে এই ফলগুলো শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কাজেই করোনাভাইরাসের এই সংক্রমণের সময় রোজকার খাদ্যতালিকায় কিছু মৌসুমি ফল অবশ্যই থাকা উচিত।
সুস্বাদু ও উপকারী ফল আম, টসটসে রসালো কাঁঠাল, লিচুর সুগন্ধে মাতোয়ারা সবাই। আরও আছে কালো জাম, ড্রাগন, কলা, আনারস, তালের শাঁসসহ একটি থালায় অন্তত দশ জাতের দেশীয় ফলের সমাহার। একসঙ্গে এত সুস্বাদু ফলের স্বাদ নিতে জিভে জল আসবে যে কারোর। ১৯ জুন বৃহস্পতিবার ছিল ঈশ্বরগঞ্জ সমকাল সুহৃদের মৌসুমি ফল উৎসবের দিন। এদিন বিকেলে স্থানীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সুহৃদের এক প্রাণবন্ত মৌসুমি ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
উৎসবে ফলের উপকারিতা বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি উঠে আসে ফল পাকাতে ও উৎপাদন বাড়াতে নানা ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক ও গ্যাস ব্যবহারের বিষয়টি। এ সময় মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার ও ব্যবসায়ীদের বাজারে বিষমুক্ত ফল সরবরাহের আহ্বান জানান সুহৃদরা। কর্মসূচিতে অংশ নেন– ঈশ্বরগঞ্জ সুহৃদ উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল, আতাউর রহমান, রুহুল আমিন রিপন, অ্যাডভোকেট এএসএম সারোয়ার জাহান, মোশাররফ হোসেন ফারুক, সাদ্দাম হোসেন, উপজেলা সুহৃদের আহ্বায়ক মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান, সদস্য সচিব আমজাদ হোসেন সোহেল, যুগ্ম আহ্বায়ক মো.
সুহৃদরা কেউ কেউ সপরিবারে ছুটে আসেন উৎসবে। সহজলভ্য সুস্বাদু ফল উপস্থাপন ও খাওয়ার পর আড্ডা জমে সুহৃদদের। আয়োজন সম্পর্কে তারা জানান, ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানাতে ও স্বাস্থ্যসম্মত ফলের স্বাদ দিতেই আমাদের এ কর্মসূচি। v
ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ দ সম ব শ ফল র স
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে সামুদ্রিক খাবার নিয়ে জমজমাট উৎসব
ইলিশ, কোরাল, চিংড়ি, লবস্টারসহ সামুদ্রিক মাছ দিয়ে তৈরি করা বিভিন্ন ধরনের খাবার থরে থরে সাজানো রয়েছে টেবিলে। ভোজনরসিক পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা এসে ঘুরে ঘুরে দেখছেন এসব খাবার। মুখে নিয়ে এর স্বাদও উপভোগ করছেন। গতকাল শুক্রবার দিনভর এমনই দৃশ্য দেখা গেছে কক্সবাজারের হোটেল রামাদায় আয়োজিত সি-ফুড ফেস্টিভ্যালে।
গতকাল সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে এই উৎসব। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় উৎসবের আয়োজন করে এমবোলডেন বাংলাদেশ, নেক্সট শিখন ও হোটেল রামাদা কর্তৃপক্ষ।
উৎসবে গিয়ে দেখা যায়, ১৬টি স্টলে খাবার সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ইলিশ, কোরাল, চিংড়ি, কাঁকড়া, লবস্টার, স্কুইডসহ নানান সামুদ্রিক মাছ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এসব খাবার। উৎসবে ইলিশের আচার, সামুদ্রিক মাছের পিঠা, শৈবাল দিয়ে তৈরি করা স্যুপ-পুডিংয়ের স্বাদ নিতে দেখা যায় কয়েকজনকে।
একটি স্টলে হরেক পদের সামুদ্রিক খাবার সাজিয়ে রাখা হয়েছে। গতকাল বিকেলে তোলা