বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন টোটাল ফ্যাশন লিমিটেডের পোশাক শ্রমিকরা। বুধবার দুপুরে মহাসড়কের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ এলাকার চট্টগ্রামমুখী লেনে তারা এ বিক্ষোভ মিছিল করেন। 

শ্রমিকদের প্রায় এক ঘন্টা অবরোধের কারণে মদনপুর এলাকা থেকে সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া এলাকা পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এর ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। পরে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ও শিল্পাঞ্চল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের আস্বস্ত করলে তারা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, কয়েক বছরের সার্ভিস চার্জসহ তাদের ২-৩ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। আমাদের বেতন না দিয়েই মালিক কর্তৃপক্ষ তাড়াহুড়ো করে ফ্যাক্টরী বন্ধ করে দেওয়ার পায়তারা করছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে সড়কে নেমেছি। 

টোটাল ফ্যাশন লিমিটেডের ম্যানেজার মো.

কবির হোসেন বলেন, কারখানা বন্ধের কথাটি সত্যি নয়। আমাদের কারখানার অবস্থা ভালো না হওয়ার স্বত্ত্বেও চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে আমরা শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করবো। এতে শ্রমিকরা সম্মত হয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন। 

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে কিছুটা যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। তবে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের আশ্বস্থ করার পর তারা সড়ক থেকে সরেছেন। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ৬২৭ জনের প্রাণহানি: ইরান

ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানের ৬২৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৭০ জন।

আজ বুধবার রাতে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহতের একটি আপডেট সংখ্যা প্রকাশ করেছে। সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসেইন কারমানপুর বলেছেন, ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬২৭ জন নিহত এবং ৪ হাজার ৮৭০ জন আহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার

হোসেইন কারমানপুর বলেন, ইসরায়েলের হামলায় তেহরানে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর রয়েছে কেরমানশাহ, খুজেস্তান, লোরেস্তান ও ইসফাহান।

পোস্টে কারমানপুর লিখেছেন, ‘আমি কোনো বিচার করছি না। হামলায় আহত শিশু, মা ও বেসামরিক নাগরিকদের বেদনাদায়ক দৃশ্য আমি বর্ণনা করছি না, এটি আমি মানুষের বিবেকের ওপর ছেড়ে দিয়েছি, তারা বিচার করবে।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ইসরায়েলের হামলায় নিহত ইরানের নাগরিকদের প্রায় ৮৬ দশমিক ১ শতাংশ ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া বাকি ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ