দিনাজপুরের হিলি বন্দরের চালের গুদামে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। এসময় চাল মজুত করার অভিযোগে তিনটি গুদাম সিলগালা করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ জুন) সকালে পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকম-এ ‘হিলি বন্দরের গুদামে গুদামে চাল মজুত, দামে ঊর্ধ্বগতি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিকেলে অভিযান পরিচালিত হয়।

বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৌর শহরে হাকিম মন্ডলের তিনটি গুদামে অভিযান পরিচালনা করেন হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত রায় ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো.

সোহেল আহমেদ। তারা গুদামগুলো সিলগালা করেছেন।

আরো পড়ুন:

ভাত পায়েস পোলাও পান্তা এক চালেই সব

‘বিনাধান-২৫ চাষ ছড়িয়ে দিতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে’ 

হাকিমপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. সোহেল আহমেদ বলেন, ‍“চাল-ডাল মজুতের সময় উত্তীর্ণ ও অবৈধভাবে ধান মজুত করায় তিনটি গুদাম সিলগলা করা হয়েছে। নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।”

তিনি বলেন, “এসব গুদামে ২৭১ মেট্রিক টন চাল, ৪৭ মেট্রিক টন মসুর ডাল ও প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন ধান মজুত রয়েছে।”

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত রায় বলেন, “উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ও পুলিশ নিয়ে গুদামগুলোতে অভিযান পরিচালনা করি। গুদামগুলোতে চাল এবং মসুর ডাল নির্দিষ্ট সময়ের বেশি সময় ধরে মজুত রাখা হয়েছে। যেসব ধান পাওয়া গেছে, এগুলো এখানে মজুত রাখার নিয়ম নেই। আমরা গুদামগুলো সিলগলা করেছি এবং এ সংক্রান্ত কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।” 

তিনি আরো বলেন, “উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাদী হয়ে থানায় মামলা করবেন।”

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউএনও অভ য ন কর মকর ত উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বাগমারায় মাটিতে পড়ে ছিল অসুস্থ ইগল, উদ্ধার করলেন কৃষক

অসুস্থ একটি ইগলকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে অনেকে ভয়ে উদ্ধার করেননি, পাশ কাটিয়ে চলে গেছেন। তবে স্থানীয় কৃষক বাবু হোসেন সাহস করে সেটিকে উদ্ধার করেন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে হস্তান্তর করেন তিনি। আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার একটি আমবাগান থেকে ইগলটি উদ্ধার করা হয়।

ইগলটি উদ্ধার করেন বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া গ্রামের কৃষক বাবু হোসেন (৫১)। তিনি বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মাঠে ঘাস সংগ্রহ করতে যাচ্ছিলেন। খুঁজিপুর গ্রামের এক আমবাগানের ভেতর দিয়ে মাঠে যাওয়ার পথে একটি বড় ইগলকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। প্রথমে ওড়ানোর চেষ্টা করলেও ইগলটি উড়তে পারছিল না। কাছে গিয়ে দেখেন, ইগলটির বাঁ পা দিয়ে রক্ত ঝরছে। পরে তিনি সেটিকে ধরে লোকালয়ে নিয়ে আসেন। স্থানীয় প্রাণিচিকিৎসক আনোয়ার হোসেনকে ডেকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। চিকিৎসার পর ইগলটি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠে।

বাগমারার ইউএনও মাহবুবুল ইসলামের কাছে ইগলটি হস্তান্তর করা হলে তিনি বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগে পাঠানোর উদ্যোগ নেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুটি ইগল আকাশে লড়াই করতে করতে মাটিতে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর একটি উড়ে গেলেও আরেকটি আহত অবস্থায় মাটিতেই পড়ে থাকে। ভয়ে তাঁরা কেউ উদ্ধার করেননি। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাবু হোসেন সাহস করে সেটি উদ্ধার করেন।

বাবু হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পাখিটিকে বাঁচাতে পেরে তাঁর ভালো লাগছে।

পল্লি প্রাণিচিকিৎসক আনোয়ার হোসেন বলেন, কৃষক বাবু হোসেন তাঁকে ডেকে অসুস্থ ইগলের চিকিৎসা করান। ইগলটির বাঁ পায়ে ক্ষত আছে। দুই ইগলের মধ্যে লড়াইয়ের কারণে এমন হয়েছে। ইগলটির ওজন প্রায় চার কেজি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ইগলটির চিকিৎসা শেষে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান বাগমারার ইউএনও মাহবুবুল ইসলাম। তিনি কৃষক বাবুর প্রশংসা করে বলেন, এখনো সচেতন মানুষ আছেন। তাঁর কারণে ইগলটি বেঁচে গেল।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আহসান হাবিব প্রথম আলোকে বলেন, ইউএনওর কাছ থেকে খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদে গিয়ে ইগলটির চিকিৎসা করা হয়েছে। পায়ে আঘাত থাকায় এটি উড়তে পারছিল না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ধর্মপাশায় জাল সনদ তৈরির অভিযোগে দুই তরুণের কারাদণ্ড, দোকান সিলগালা
  • রাজশাহীতে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে বিএনপি নেতার কাঠের ব্যবসা
  • বাগমারায় মাটিতে পড়ে ছিল অসুস্থ ইগল, উদ্ধার করলেন কৃষক
  • হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভাঙ্গার আন্দোলন স্থগিত