ছোট থেকেই গান করতেন রেহানা রাখি। এর সঙ্গে স্কুলে অভিনয়, উপস্থিত বক্তৃতাতেও তিনি ছিলেন পটু। যেকোনো প্রতিযোগিতায় তাঁর কাছ থেকে পুরস্কার কেউ নিতে পারত না। শৈশবের সেসব স্মৃতি হাতড়ে রাখি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে গায়ের রং কালো ছিল বলে মা আমাকে নিয়ে গান করত মার কালা চান মাই তোমারে গান শেখাব। মানুষ যখন ছোট থাকে, তখন কোনো স্বপ্ন থাকে না। মানুষ যখন বুঝতে শেখে, জানতে শেখে—কোনটা ভালো কোনটা খারাপ, তখন মানুষের স্বপ্ন তৈরি হয়। ঠিক এর ব্যতিক্রম আমিও ছিলাম না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার শুরু থেকেই স্কুলে গান করতাম। সব সময় গানের পুরস্কার পেতাম। উপস্থিত বক্তৃতাতেও খুব নাম করেছিলাম।’  

স্কুল পেরিয়ে যখন রাখি কলেজে, তখন তাঁর অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। তিনি ভাবতে থাকেন ছোট সময় তো ভালো অভিনয় করতাম, এখন যদি একটু অভিনয়ের সুযোগ পেতাম! ইশ, যদি টেলিভিশনে একটু দেখানো যেত। এই ভাবনা থেকেই রাখি অডিশন দেন সুপারহিরো সুপার হিরোইন প্রতিযোগিতায়। অডিশনে চট্টগ্রাম পর্বে ১১ জন মেয়ের মধ্যে ৬ নম্বর স্থান অর্জন করেছিলেন তিনি। এরপর তিনি পাড়ি জমান ঢাকায়। পরে নির্মাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন। নির্মাতা নজরুল কুরাইশীর ‘ব্ল্যাকমেল’ নাটক দিয়ে তাঁর অভিনয়ের ক্যারিয়ার শুরু হয়। প্রথমে ছোট ছোট চরিত্র দিয়ে শুরু করে পরে জনপ্রিয় অনেক নাটকে অভিনয় করেন তিনি।  
অভিনয় ক্যারিয়ার নিয়ে রাখি বলেন, ‘আমি কখনো নায়িকা হতে ঢাকা শহরে আসিনি। চেয়েছি আমি একজন ভালো ক্যারেক্টার আর্টিস্ট হব। শুধু একটা চরিত্রের জন্য অনেকের কাছে অনুরোধ করতাম। এভাবে বেশ কিছু নাটকে অভিনয়ের সুযোগ পাই। লাইলীসহ আমার বেশ কিছু চরিত্র নিয়ে এখনো মানুষের ভালোবাসা পাই।’

রেহানা রাখি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: করত ম

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচনে বাম জোটের শীর্ষ ৩ পদে নেই নারী প্রার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বামপন্থি সংগঠনগুলো জোট আকারে নির্বাচন করবে।

জোট থেকে ভিপি হিসেবে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের একাংশের ঢাবি শাখার সভাপতি মোজাম্মেল হক, জিএস হিসেবে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের ঢাবি শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু এবং এজিএস হিসেবে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল নির্বাচন করবেন।

বামপন্থি একাধিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত দুইদিন ধরে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে শীর্ষ তিন পদে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ নিয়ে আজ মঙ্গলবার আবারো আলোচনায় বসবে সংগঠনগুলো এবং আজকের আলোচনায়ই প্যানেল চূড়ান্ত করা হবে।

প্যানেল কবে ঘোষণা করা হবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সম্ভাব্য ভিপি পদপ্রার্থী মোজাম্মেল হক রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “আমরা বৃহস্পতিবারের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করব। যদি না পারি, তাহলে রোববার নিশ্চিত।”

শীর্ষ তিন পদে কোনো নারী প্রার্থী না থাকাই নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে এজিএস পদে নারী প্রার্থী দেওয়া হতে পারে বলেও মনে করছেন অনেক নেতাকর্মী। এক্ষেত্রে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাবি শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (একাংশ) সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ আলোচনায় রয়েছেন।

বাম সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ২০১৯ সালের মতো এবারো অধিকাংশ হল সংসদগুলোতে নেতাকর্মী সংকটের কারণে প্যানেল দিতে পারছে না বাম সংগঠনগুলো। জগন্নাথ হলে বাম সংগঠনগুলোর প্যানেল হতে পারে। যেকোনো হলের তুলনায় এই হলটিতে তুলনামূলক ভোট বেশি পাবে বলেই ধারণা তাদের।

শীর্ষ তিন পদে নারী প্রার্থীদের অনুপস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে মোজাম্মেল বলেন, “বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যক্তিদের নিয়ে আমরা একটা সম্মিলিত প্যানেল করার জন্য আলাপ-আলোচনা করছি। নারী, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের আমরা যোগ্যতার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দেব।”

তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ডাকসু নির্বাচন। ইতোমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সোমবার।

এ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) থেকে, চলবে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র গ্রহণের সবশেষ তারিখ ১৯ আগস্ট। পরদিন ২০ আগস্ট ও ২১ আগস্ট প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন ২৫ আগস্ট। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৬ আগস্ট।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ