জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খানকে অপসারণ দাবিতে পূর্ব ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।

শনিবার (২৮ জুন) সকাল থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাষ্টের স্বার্থে এনবিআর বিলুপ্তি রোধে এই কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছে সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

আগারগাঁও এনবিআর ভবনের সামনে কমপ্লিট শাটডাউন-মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে নানা ধরনের লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। প্ল্যাকার্ডগুলোর মধ্যে লেখা রয়েছে- ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানের অপসারণ চাই’, ‘আলোচনার পূর্বশর্ত এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ’, ‘আব্দুর রহমান খানকে চেয়ারম্যান রেখে কোনো আলোচনা নয়’, ‘রাষ্টের স্বার্থে এনবিআর বিলুপ্তি রোধে ও একটি টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থাপনা গড়ার লক্ষ্যে কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর’। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি চলছে।  

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহাম্মদ তারেক রিকাবদার ও মহাসচিব অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।

এদিকে, এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। 

আগে এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহাম্মদ তারেক রিকাবদার ও মহাসচিব অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা জানায়, অনেককে সম্প্রতি বদলি করা হয়েছে। এসব বদলির আদেশ বাতিল করতে হবে। এছাড়া, এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। যদি তা না করা হয় তাহলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব দপ্তরে কমপ্লিট শাটডাউন করবে।

এর আগে বলা হয়, গত ২৭ জুনের মধ্যে কর কর্মকর্তাদের বদলি আদেশ বাতিল না করা হলে এবং এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ না করা হলে ২৮ জুন থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে কমপ্লিট শাটডাউন চলবে এবং মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি পালন করা হবে।

এনবিআর বিলুপ্তি করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করার পর থেকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ তা বাতিল সহ বেশ কিছু দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে আসছে।

এনএফ/ইভা

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার–প্রচারণায় ২৫ কোটি টাকা খরচ করবে সরকার

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করতে প্রচার–প্রচারণায় ২৫ কোটি টাকা খরচ করবে। মূলত জনগণের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারের অংশ হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলা এবং ৩০০টি উপজেলায় টিভিসি, ভিডিও ডকুমেন্টারি ইত্যাদি তৈরি করে প্রচারের জন্য এলইডি অ্যাকটিভেশন ক্যারাভানের মাধ্যমে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। দরপত্র ছাড়াই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ড সলিউশন লিমিটেডকে এই কাজ দেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক এ–সংক্রান্ত প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, এ–সংক্রান্ত কাজ নভেম্বরে শুরু করার নির্দেশনা থাকায় সময় স্বল্পতার জন্য উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা সম্ভব নয়। তাই রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সরকারি ক্রয় বিধিমালা (পিপিপিআর) অনুসারে ব্র্যান্ড সলিউশন লিমিটেডকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব নিয়ে আসে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে যথাসময়ে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৩ লাখ টন চাল আমদানির লক্ষ্যে পিপিআর অনুসারে দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকা বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ হতে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন নির্ধারণ করার একটি প্রস্তাব নিয়ে আসে খাদ্য মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ