রাজস্ব বোর্ডের সামনে ‘মার্চ টু এনবিআর’
Published: 28th, June 2025 GMT
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খানকে অপসারণ দাবিতে পূর্ব ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাষ্টের স্বার্থে এনবিআর বিলুপ্তি রোধে এই কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছে সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
আগারগাঁও এনবিআর ভবনের সামনে কমপ্লিট শাটডাউন-মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে নানা ধরনের লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। প্ল্যাকার্ডগুলোর মধ্যে লেখা রয়েছে- ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানের অপসারণ চাই’, ‘আলোচনার পূর্বশর্ত এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ’, ‘আব্দুর রহমান খানকে চেয়ারম্যান রেখে কোনো আলোচনা নয়’, ‘রাষ্টের স্বার্থে এনবিআর বিলুপ্তি রোধে ও একটি টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থাপনা গড়ার লক্ষ্যে কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর’। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি চলছে।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহাম্মদ তারেক রিকাবদার ও মহাসচিব অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
এদিকে, এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
আগে এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহাম্মদ তারেক রিকাবদার ও মহাসচিব অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা জানায়, অনেককে সম্প্রতি বদলি করা হয়েছে। এসব বদলির আদেশ বাতিল করতে হবে। এছাড়া, এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। যদি তা না করা হয় তাহলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব দপ্তরে কমপ্লিট শাটডাউন করবে।
এর আগে বলা হয়, গত ২৭ জুনের মধ্যে কর কর্মকর্তাদের বদলি আদেশ বাতিল না করা হলে এবং এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ না করা হলে ২৮ জুন থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে কমপ্লিট শাটডাউন চলবে এবং মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি পালন করা হবে।
এনবিআর বিলুপ্তি করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করার পর থেকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ তা বাতিল সহ বেশ কিছু দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে আসছে।
এনএফ/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলের হাইফা বন্দরে হুতিদের হামলা
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হাইফা বন্দর, নেগেভ, উম্ম আল-রশরাশ ও বিরসেবায় এ হামলা চালানো হয়েছে।
হুতির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস কর্মকান্ডের জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় ছয়টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ড্রোনগুলো সফলভাবে লক্ষবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ না করলে এবং অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এ ধরনের হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে হুতি।
তবে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৮৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩১ জন ছিলেন ত্রাণপ্রত্যাশী। এ সময় ৫১৩ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, অনাহারের কারণে গাজায় আরও পাঁচ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে। এ নিয়ে উপত্যকাটিতে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা ২২৭–এ পৌঁছাল, যাদের মধ্যে ১০৩টি শিশু।