নতুন সেতুর গল্প

শক্তিশালী ও প্রবহমান যমুনা নদীর ওপর বর্তমান সড়কসেতুর পাশে নতুন রেলসেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই রেলসেতুতে আসা–যাওয়ার দুটি লাইন (ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক) রয়েছে। ২০২৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন সেতুর একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। মূল সেতু পার হতে ট্রেনে লাগবে দুই-তিন মিনিট। সেতুর দুই পাড়ের স্টেশন সয়দাবাদ ও ইব্রাহিমাবাদের মধ্যে দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার। এই অংশ পার হতে ৭ মিনিটের বেশি লাগছে না। আগে যমুনা সড়কসেতুর সঙ্গের রেলসেতু পার হতে ট্রেনের সময় লাগত ২০–২৫ মিনিট। নতুন সেতু দিয়ে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি যাতায়াতের সময়ও কমছে। নতুন সেতু চালুর ফলে পুরোনো যমুনা সড়কসেতুর রেলপথ দিয়ে আর ট্রেন চলাচল করছে না।

গতিশীল নদীতে সেতু নির্মাণ চ্যালেঞ্জিং

গতিশীল নদীতে যেকোনো সেতু নির্মাণ অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। নদীর প্রবাহের তীব্রতা, পলি বহনের ক্ষমতা এবং ভাঙনপ্রবণতা সেতুর ভিত্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মো.

মুজিবুর রহমান বলেন, যেকোনো নদীর ওপরে সেতু–কাঠামো নির্মাণের কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপরে প্রভাব পড়ে। সেতুর কারণে নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশ, গতিপ্রবাহে প্রভাব তৈরি হয়। নদী যেহেতু একটি জীবন্ত সত্তা, এখানে শুধু পানি প্রবাহিত হয় না, নদীর জলজ পরিবেশ ও প্রতিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেতু নির্মাণের কারণে নদীর গতিপ্রবাহ পরিবর্তন হয়। যমুনা নদীর স্রোত অনেক গতিশীল ও শক্তিশালী। আমাদের দেশের প্রায় সব নদী উৎপত্তিস্থল থেকে অনেক দূরে ও সমুদ্রের কাছাকাছি বলে আচরণের দিক থেকে অনেক শক্তিশালী। নদীর ওপরে সেতু নির্মাণে নদীর তথ্য নিয়ে সমীক্ষা করতে অনেক সময় লেগে যায়। দেখা যায়, বর্ষাকালে নদীর পানিস্তর বৃদ্ধি ও স্রোতের বেগ বেড়ে যাওয়ায় সেতুর কাঠামোর ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। নদীর তলদেশের ভৌগোলিক গঠন এবং মাটির ধরন সেতুর পিলার স্থাপনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

নরম মাটি বা বালুকাময় তলদেশে মজবুত ভিত্তি তৈরি করা কঠিন। সেতুর স্থায়িত্বের জন্য হুমকি তৈরি হয়। আবার নদীর গতিপথের পরিবর্তন বা নদীর পাড় ভাঙন সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড ও কাঠামোকে ঝুঁকিতে ফেলে। এসব প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে উন্নত প্রকৌশল বিদ্যা, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা এবং প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। যমুনা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী ও বিশ্বের দীর্ঘতম নদীগুলোর মধ্যেও অন্যতম। এখানে যমুনা রেলসেতু নির্মাণ করা বেশ চ্যালেঞ্জিং কাজ বটে। 

যমুনা রেলসেতুতে একটি স্প্যান বসানো হচ্ছে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নদ র ওপর নত ন স ত প রব হ নদ র প গত শ ল র লস ত

এছাড়াও পড়ুন:

পিঠ চাপড়ে দিব‍্যকে আদর করে দিলেন আমির খান

বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’কে সামনে পেয়ে কার না হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়! অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের রাস্তায় এমনই এক অপ্রত্যাশিত মুহূর্তের মুখোমুখি হলেন বাংলাদেশের তরুণ অভিনেতা দিব্য জ্যোতি। স্বপ্নের নায়ক আমির খানের সঙ্গে পরিচয়, প্রাণখোলা আলাপ, আর শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে কাজের কথা শুনে পিঠ চাপড়ে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলেন তিনি—যা দিব্যর শিল্পীজীবনের স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সামাজিক মাধ্যমে আমির খানের সঙ্গে দিব্য জ্যোতির একটি ছবি শেয়ার করেছেন শাহনাজ খুশি।

সেই ছবিতে দেখা যায়, আমির খানের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন দিব্য। কাঁধে ব্যাগ, পরনে শার্টের ওপরে ফুল স্লিভ সোয়েটার। এদিকে আমির খানের পরনে কালো কুর্তা, সাদা পাজামা।

আরো পড়ুন:

এখনও হৃতিক সুজানের বন্ধুত্ব রয়ে গেছে

গান হলো কিন্তু সংসারটা ঠিকমতো হলো না অলকার

স্বপ্নের নায়ককে কাছে পেয়ে কথা বলেছেন, ছবি তোলারও সুযোগ হাতছাড়া করেননি দিব্য। শাহনাজ খুশি লিখেছেন, ‌‍‍‍‍"অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে রাস্তায় দিব‍্যর স্বপ্নের নায়ক আমির খানের সাথে হঠাৎ দেখা! অতঃপর বাংলাদেশের অভিনেতা হিসাবে পরিচয় দেওয়া, কথা বলা।"

ভারতের নন্দিত পরিচালক শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় কাজের সুযোগ হয়েছে দিব্যর। সে কথা শোনার পর ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ অন্যরকম আন্তরিকতা দেখিয়েছেন বলেও জানালেন খুশি।

শাহনাজ খুশি লিখেছেন, "মুম্বাইয়ে শ্যাম বেনেগাল স্যারের সাথে কাজের কথা শুনে অত‍্যন্ত আন্তরিকভাব দেখিয়েছেন আমির খান। সেই সঙ্গে দিব্যর পিঠ চাপড়ে আদর করে দিয়েছেন! কারণ, বেনেগাল স্যারের অতিশয় ভক্ত এবং তার জন্য গর্বিতও আমির খানও।"

শেষে তিনি লিখেছেন, "অচেনা-অখ‍্যাত একজন শিল্পীর প্রতি আমির খানের মতো একজন শিল্পীর এমন বিনয় নিঃশ্চয় দিব‍্যর জন্যও শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে।"

নাট্যকার-অভিনেতা বৃন্দাবন দাস ও অভিনেত্রী শাহনাজ খুশির জমজ দুই সন্তান। একজনের নাম সৌম্য জ্যোতি, অন্যজন দিব্য জ্যোতি। পড়াশোনার পাশাপাশি তারা এখন নাটক, ওটিটি ও সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করছেন। মা-বাবার মতো হয়ে উঠেছেন শোবিজের প্রিয়মুখ।

ঢাকা/রাহাত/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ