চাকসু নির্বাচনসহ ৭ দাবিতে চবিতে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন
Published: 29th, June 2025 GMT
শতভাগ আবাসন, চাকসু নির্বাচন ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারসহ সাত দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রশিবির। এ সময় আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা না গেলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
রবিবার (২৯ জুন) দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে সংগঠনটি।
সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে আগামী ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত সংস্কার ক্যাম্পেইন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। এর মধ্যে, ১ জুলাই প্রতীকী সিট বণ্টন, ৩ জুলাই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময়, ৭ জুলাই গণস্বাক্ষর কর্মসূচি এবং ১০ জুলাই সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন।
আরো পড়ুন:
আন্দোলন নিয়ে ‘হতবাক’ শহীদ আবু সাঈদের পরিবার
জাবিতে ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে রাবি শিক্ষার্থী আটক
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাখা শিবির সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, “এ দেশের বুকে জুলাই নেমে এসেছিল, যখন মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল, যখন শিক্ষাঙ্গনে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, মাদক, অনৈতিকতা ও বেহায়াপনার সয়লাব, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য ও শিক্ষকদের একটা অংশ দলীয় দাসে পরিণত হয়েছিল। মানুষ ২ হাজার শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আশায় বুক বেঁধেছিল।”
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা তাদের সাথীদের লাশের বিনিময়ে একটি শিক্ষাবান্ধব নিরাপদ ক্যাম্পাস ও ন্যায্য অধিকার চেয়েছিল। আবারো আমাদের মাঝে জুলাই আসন্ন। কিন্তু ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা প্রশাসনের কাছে জুলাইয়ের বার্তা কী? শহীদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার কতটুকু প্রতিফলিত হয়েছে?”
তিনি আরো বলেন, “ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। শত জুলুম-নিপীড়ন, গুম-খুন, হত্যা এবং মিডিয়া সন্ত্রাসের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ যত বেশি শিক্ষার্থীদের থেকে আমাদের দূরে সরাতে চেয়েছে, ছাত্রশিবির তার চেয়ে বহুগুণ বেশি ভালোবাসা পেয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের নেতৃত্ব গ্রহণ করেছে। শহীদদের আকাঙ্ক্ষা বিনির্মাণে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশিত একটি ক্যাম্পাস উপহার দিতে অধিকার সংশ্লিষ্ট সাত দফা দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে চবি ছাত্রশিবির।”
তাদের সাত দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক সব শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা প্রদান করতে হবে; সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে অনতিবিলম্বে সেশনজট নিরসন এবং শিক্ষার আধুনিকায়ন নিশ্চিত করতে হবে; পর্যাপ্ত ও নিরাপদ যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে; অনতিবিলম্বে চাকসু নির্বাচন দিতে হবে।
বাকি দাবিগুলো হলো- দ্রুত সময়ের মধ্যে টিএসসি স্থাপন, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নির্মাণ, কেন্দ্রীয় মসজিদ পুনর্নির্মাণ এবং আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থাপনাসমূহ সংস্কার করতে হবে; জুলাই বিপ্লব ও ফ্যাসিবাদী শাসনামলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার এবং জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করতে হবে; বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে জড়িত সবার বিচার এবং নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।
এদিকে, এসব দাবিগুলো নিয়ে একটি বুকলেট প্রণয়ন করেছে চবি শাখা শিবির। সংবাদ সম্মেলনে বুকলেটের সারসংক্ষেপ পেশ করেন শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী।
সংবাদ সম্মেলন আরো উপস্থিত ছিলেন, শাখা শিবিরের দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ খালেদ, প্রচার সম্পাদক মো.
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ ত করত
এছাড়াও পড়ুন:
‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠনে কার্যকর পদক্ষেপসহ ৫ সুপারিশ
‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’ দ্রুত জারি করে ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণসহ ৫ দফা সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব প্রদানের আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশ তুলে ধরেন সংগঠনটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন।
আরো পড়ুন:
ফেব্রুয়ারিতেই মহোৎসবে জাতীয় নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
বেড়ায় রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা
অ্যাসোসিয়েশনের সুপারিশগুলো হলো
১. নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’ জারি করে ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনা।
২. প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম অনুমোদন, নতুন পদসৃজন, আপগ্রেডেশন এবং প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সরবরাহ নিশ্চিতকরণ।
৩. জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিল করে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর।
৪. আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচন ভবনে সব কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫’ আয়োজন।
৫. নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫ আয়োজনে প্রস্তুতিমূলক বিভিন্ন কমিটি গঠন।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ