পটিয়ায় মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে পুকুরে ডুবে তরুণের মৃত্যু
Published: 30th, June 2025 GMT
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে পুকুরে ডুবে শান্ত নন্দী (১৮) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের অনুকূল ঠাকুর সংলগ্ন ধরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শান্ত নন্দী রংপুর জেলার সঞ্জয় নন্দীর ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি চট্টগ্রাম শহরের একটি ভাড়া বাসায় মা–বাবার সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন। চার দিন আগে তিনি বেড়াতে আসেন মধ্যম হাইদগাঁওয়ের বটতল এলাকার নানা বিমল সেনের বাড়িতে।
স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক সঞ্জয় সেন জানান, বেলা একটার দিকে শান্ত তাঁর মামাতো ভাই ও স্থানীয় বন্ধুদের সঙ্গে পুকুরে গোসল করতে নামেন। সবার সঙ্গে সাঁতার কেটে পুকুরের এক পাশ থেকে আরেক পাশে যাওয়ার সময় শান্ত মাঝপথে তলিয়ে যান।
গোসল শেষে সবাই ঘরে ফিরলেও শান্ত না ফেরায় সন্দেহ জাগে। পরে তাঁর বন্ধুরা পুকুরপাড়ে গিয়ে তাঁর কাপড়চোপড় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে পুকুরে খোঁজাখুঁজি করে পানির নিচ থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
এরপর দ্রুত পটিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শান্তকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হাইদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রনজিত কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, তাঁরা প্রতিদিনের মতো পুকুরে গোসল করতে যান। গোসল শেষে দুজন বন্ধু অন্য পারে পৌঁছালেও শান্ত পারেননি। পরে তাঁর খোঁজ শুরু হলে পুকুরেই পাওয়া যায় তাঁকে।
পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ নুরুল আবছার বলেন, আজ বেলা দুইটার দিকে শান্ত নামের এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো.
শান্তর মামাতো ভাই সুভাষ সেন জানান, শান্ত নন্দী এ বছর চট্টগ্রামের কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়।
এই দুর্ঘটনায় শান্ত নন্দীর পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সবাই বলছেন, একটি আনন্দঘন বেড়ানোর মুহূর্ত কীভাবে বিষাদে পরিণত হলো, তা বিশ্বাস করতে পারছেন না তাঁরা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ন ত নন দ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে আলোচিত পাঁচ বই
প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে বহু জীবনী, উপন্যাস ও স্মৃতিগ্রন্থ লেখা হয়েছে। তাঁর চরিত্রটি তো শুধু ব্যক্তিগত নয়; বরং সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এমনকি অস্তিত্বগত প্রশ্নেরও জন্ম দিয়েছে। তাঁর জীবন এবং চারপাশে তৈরি হওয়া গল্পগুলো যেন একেকটি ‘মিথ’। তার দুখী দুখী চোখ, মানবিক ও সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে উঠেছে প্রজন্মের পর প্রজন্মের কল্পনার অংশ। ডায়ানার জীবন ও চরিত্র এতটাই জটিল আর বহুমাত্রিক যে বিভিন্ন লেখক একেক দৃষ্টিতে সেসব তাঁদের লেখায় হাজির করেছেন। কেউ তাঁকে ট্র্যাজিক চরিত্র, কেউ আত্মবিপর্যস্ত নারী, কেউবা মিডিয়া আইকন ও ভুক্তভোগী, কেউ আবার অন্তরঙ্গ সেবকের দৃষ্টিতে কিংবা পালিয়ে যাওয়া নারীর প্রতীকরূপে ডায়ানাকে তুলে এনেছেন তাদের লেখায়।
অ্যান্ড্রু মরটনের ডায়ানা: হার ট্রু স্টোরি—ইন হার ওন ওয়ার্ডসডায়ানাকে নিয়ে লেখা সবচেয়ে আলোচিত বই। প্রথম সংস্করণে জাঁকজমকপূর্ণ রাজকীয় জীবনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রাজকন্যা ডায়ানার নিঃসঙ্গতা এবং ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্দরমহলের নানা গোপনীয়তা, তাঁর সাংসারিক জীবনের নিগূঢ় বাস্তবতা উঠে আসে। রাজপরিবারের এসব দুর্ভেদ্য তথ্য উঠে আসায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
অ্যান্ড্রু মরটন