বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) গবেষণাকে এগিয়ে নিতে নতুন গবেষণা প্রকল্পের জন্য বার্ষিক বাজেট ১ লাখ টাকা বৃদ্ধি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে নতুন গবেষণায় বার্ষিক বাজেট পূর্বের ৪ লাখ থেকে বৃদ্ধি করে ৫ লাখ করা হয়েছে। এছাড়াও পিএইচডি গবেষণার প্রকল্প নিয়েও নতুন সিদ্ধান্ত দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২৯ জুন) নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাকৃবি কর্তৃপক্ষ। সোমবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
ঢাকা দক্ষিণের ৩৮৪১ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাউরেস থেকে অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে ভবিষ্যতে নতুন গবেষণা প্রদানের ক্ষেত্রে বার্ষিক বাজেট ৪ লাখ টাকার স্থলে ৫ লাখ টাকায় উন্নীত করা হলো। এছাড়াও ভবিষ্যতে অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে যে সকল প্রকল্পে পিএইচডি গবেষণা থাকবে সেই সকল প্রকল্পের বার্ষিক বাজেট ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা রেখে মোট ৩ বছরের জন্য প্রকল্প আহ্বান করার অনুমোদন দেয়া হলো। তবে এক্ষেত্রে পিএইচডি ফেলোর মাসিক ফেলোশীপ ২০ হাজার টাকা থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, নতুন গবেষণা প্রকল্পের ক্ষেত্রে বার্ষিক ৫ লাখ টাকার মধ্যে ৩ হাজার ২০০ টাকা বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি কর্মশালা আয়োজনের জন্য বরাদ্দ রাখার অনুমোদন দেয়া হলো।
গত ১৫ মে অনুষ্ঠিত ফিন্যান্স কমিটির- ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় অধিবেশনের ১০নং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১৮ মে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৩২৮তম অধিবেশনে গৃহীত ৪ নম্বর সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হওয়ায় এ আদেশ প্রদান করা হলো বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প অন ম দ
এছাড়াও পড়ুন:
আধুনিক টিভির যত আধুনিক সুবিধা
টেলিভিশনকে বাংলায় বলা হয় ‘দূরদর্শন’। মাত্র কয়েক বছর আগেও এটি সত্যিই ছিল দূরদর্শনের মাধ্যম—দূরের কোনো ঘটনা চোখের সামনে এনে দেওয়ার একটি যন্ত্র। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে টিভির সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য ও ব্যবহার। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতিতে আজকাল টিভি হয়ে উঠেছে একটি ‘স্মার্ট হাব’, যেখানে সিনেমা দেখা, গেম খেলা, ভিডিও কল করা, এমনকি বাড়ির অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আধুনিক টিভিগুলোর সুবিধা কেবল ছবি বা সাউন্ডে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এগুলো এখন ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স।
স্মার্ট অপারেটিং সিস্টেমবর্তমান প্রজন্মের টিভিগুলো শুধু নাটক কিংবা সিনেমা দেখার একটি স্ক্রিন নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ স্মার্ট ডিভাইস। স্মার্ট টিভিতে অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) হিসেবে টাইজেন, অ্যান্ড্রয়েড টিভি, রোকু টিভি এবং ওয়েবওএস ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। এই সিস্টেমগুলোর মাধ্যমেই বর্তমান যুগের টিভিগুলো হয়ে উঠছে আধুনিক থেকে আধুনিকতর। ব্যবহারকারীরা এখন চাইলেই স্মার্ট টিভিগুলোতে নেটফ্লিক্স, ইউটিউব, স্পটিফাই, অ্যামাজন প্রাইম কিংবা যেকোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মও সরাসরি উপভোগ করতে পারেন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘অ্যাপ স্টোর ইন্টিগ্রেশন’। টিভিতেই এখন মোবাইলের মতো অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। ওয়েদার অ্যাপ, গেমস, নিউজ—এমনকি ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপও ব্যবহার করা যায় টিভির বড় স্ক্রিনে।
ভয়েস কন্ট্রোল: কথা বলেই নিয়ন্ত্রণরিমোট খোঁজার ঝামেলা এখন যেন অতীত। আগে টিভির সবকিছু রিমোট দ্বারা পরিচালিত হলেও এখনকার আধুনিক টিভিগুলোতে আছে ভয়েস কন্ট্রোল—যেখানে ব্যবহারকারীর ভয়েস দ্বারাই টিভি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই প্রযুক্তি বিক্সবি, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যালেক্সার মতো ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে কাজ করে। এর পাশাপাশি কিছু হাই-এন্ড মডেলে রয়েছে জেসচার কন্ট্রোল—যেখানে হাত নাড়লেই টিভি রেসপন্স করে। টিভি চালু-বন্ধ করা, চ্যানেল পরিবর্তন—এমনকি ভলিউম বাড়ানো-কমানোর মতো কাজও করা যায় হাতের ইশারায়। এ ক্ষেত্রে গ্যালাক্সি ওয়াচের কথা বলা যায়। এটি হাতের নড়াচড়াকে শনাক্ত করে এসব কমান্ড কার্যকর করে।
মাল্টি-ডিভাইস কানেকটিভিটি: এক স্ক্রিনে সব সংযোগবর্তমানে টিভি শুধু সম্প্রচার মাধ্যম নয়; এটি হয়ে উঠেছে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল ইউনিট। মোবাইল ফোন, স্পিকার, ল্যাপটপ, গেমিং কনসোল—সব ডিভাইস এখন টিভির সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত করা যায়।
বেশির ভাগ স্মার্ট টিভিতে রয়েছে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, এইচডিএমআই এআরসি, এয়ার প্লে, মিরাকাস্টসহ বিভিন্ন সুবিধা। ফলে ব্যবহারকারী চাইলে নিজের ফোনের ছবি, ভিডিও বা প্রেজেন্টেশন মুহূর্তেই বড় স্ক্রিনে শেয়ার করতে পারেন। সেই সঙ্গে আধুনিক টিভিগুলোতে রয়েছে গেমারদের জন্য এইচডিএমআই ২.১ পোর্ট এবং কম ইনপুট ল্যাগযুক্ত ডিসপ্লে, যা গেমিং এক্সপেরিয়েন্সকে করে তোলে আরও স্মুথ।
আধুনিক টিভিগুলো ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স