নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়কে সংযুক্ত করতে প্রস্তাবিত কদম রসুল সেতুর পশ্চিমাংশের নারায়ণগঞ্জ কলেজের সামনের মুখ পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অভিভাবকের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক এ এইচ এম কামরুজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ ড.

ফজলুল হক রুমন রেজার নেতৃত্বে এ স্মারকলিপি দেয়া হয়।

এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ কলেজের এডহক কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি  ফারুক আহমেদ, মাসুম বিল্লাহ ,শরীফ মোহাম্মদ আরিফ , রবিউল ইসলাম ও বরুন কুমার ভট্টাচার্য।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা জানতে পেরেছি কদম রসুল সেতুর পশ্চিম পাড়ের মুখটি নারায়ণগঞ্জ কলেজের সামনে নামবে। এটি আমাদের জন্য দুশ্চিন্তার ও আতঙ্কের বিষয়। কারণ কালীরবাজার ও ফলপট্টি শহরের ব্যস্ততম এলাকা।

এখানে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল ও নারায়ণগঞ্জ কলেজের মতো গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,শহরের প্রধান দুই বাজার—কালীর বাজার ও দিগুবাবু বাজার, এবং রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটের সংযোগ সড়ক। নারায়ণগঞ্জ কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক ডিগ্রি ও অনার্সে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় দশ হাজার।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স ডিগ্রী মাস্টার্স এলএলবি বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা নারায়ণগঞ্জ কলেজে হয়ে থাকে। তাই পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে নারায়ণগঞ্জ কলেজে সারা বছরই পরীক্ষা চলে।এই এলাকায় সবসময় যানজট লেগে থাকে।

এমন পরিস্থিতিতে সেতুর উঠানামার মুখ এখানে হলে শিক্ষা ও পরীক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হবে।

ইতোমধ্যেই বিষয়টি অনুধাবন করে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক ও নাগরিক নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত পুনবির্িবেচনার দাবি জানিয়েছে।তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি নারায়ণগঞ্জ কলেজ পরিবার  এই নকশা পুনর্বিবেচনা করে সেতুর পশ্চিম অংশের সংযোগপথ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার আবেদন জানাচ্ছে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: শ তলক ষ য ন র য়ণগঞ জ স ম রকল প পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আমীর হোসেন (৫০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক হুমায়রা তাসমিন এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আমীর হোসেন জামালপুর জেলার ইসলামপুরের মহলগিরী এলাকার শাহ জামালের ছেলে। রায় ঘোষণার সময়ে তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানান, রূপগঞ্জের পশ্চিমগাঁও এলাকার মো. আবু তালেবের মেয়ে বিলকিছ বেগমের সঙ্গে আমীর হোসেনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত।

২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে আমীর হোসেন বিলকিছ বেগমকে তাদের বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় বিলকিছের বাবা আবু তালেব রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় দেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ
  • ইনসাফপূর্ণ সমাজ গঠনে আল কোরআনের কোন বিকল্প নাই : ড. ইকবাল
  • হাসপাতালে শয্যাসংকট, মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা
  • মহানবমীতে আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জের বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শনে না.গঞ্জ ঐক্য পরিষদ  
  • রূপগঞ্জে চার শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে
  • দুই মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে ১৯ কিলোমিটার যানজট
  • নারায়ণগঞ্জে সাদাপোশাকে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার, র‌্যাবের ৩ সদস্য আহত
  • বিএনপির এই ভালোবাসা সনাতন সম্প্রদায় ভুলবে না : শিপন সরকার 
  • না.গঞ্জ সদরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা
  • রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন