প্রস্তাবিত কদমরসুল সেতুর পশ্চিমাংশের মুখ পরিবর্তনের আবেদন
Published: 1st, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়কে সংযুক্ত করতে প্রস্তাবিত কদম রসুল সেতুর পশ্চিমাংশের নারায়ণগঞ্জ কলেজের সামনের মুখ পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অভিভাবকের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক এ এইচ এম কামরুজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ ড.
এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ কলেজের এডহক কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ, মাসুম বিল্লাহ ,শরীফ মোহাম্মদ আরিফ , রবিউল ইসলাম ও বরুন কুমার ভট্টাচার্য।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা জানতে পেরেছি কদম রসুল সেতুর পশ্চিম পাড়ের মুখটি নারায়ণগঞ্জ কলেজের সামনে নামবে। এটি আমাদের জন্য দুশ্চিন্তার ও আতঙ্কের বিষয়। কারণ কালীরবাজার ও ফলপট্টি শহরের ব্যস্ততম এলাকা।
এখানে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল ও নারায়ণগঞ্জ কলেজের মতো গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,শহরের প্রধান দুই বাজার—কালীর বাজার ও দিগুবাবু বাজার, এবং রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটের সংযোগ সড়ক। নারায়ণগঞ্জ কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক ডিগ্রি ও অনার্সে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় দশ হাজার।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স ডিগ্রী মাস্টার্স এলএলবি বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা নারায়ণগঞ্জ কলেজে হয়ে থাকে। তাই পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে নারায়ণগঞ্জ কলেজে সারা বছরই পরীক্ষা চলে।এই এলাকায় সবসময় যানজট লেগে থাকে।
এমন পরিস্থিতিতে সেতুর উঠানামার মুখ এখানে হলে শিক্ষা ও পরীক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হবে।
ইতোমধ্যেই বিষয়টি অনুধাবন করে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক ও নাগরিক নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত পুনবির্িবেচনার দাবি জানিয়েছে।তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি নারায়ণগঞ্জ কলেজ পরিবার এই নকশা পুনর্বিবেচনা করে সেতুর পশ্চিম অংশের সংযোগপথ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার আবেদন জানাচ্ছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: শ তলক ষ য শ তলক ষ য ন র য়ণগঞ জ পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ
নারায়ণগঞ্জের বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করা হয়েছে। পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি এটুর্নি জেনারেল ও বিদ্যানিকেতন ট্রাস্টের সদস্য ব্যারিষ্টার মেহেদী হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এবং বিদ্যানিকেতন ট্রাস্টের সদস্য বদিউজ্জামান বদু। এ সময় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৯০ জনের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এরআগে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি এটুর্নি জেনারেল ও বিদ্যানিকেতন ট্রাস্টের সদস্য ব্যারিষ্টার মেহেদী হাসান বলেন, শুধু মাত্র পুথিগত বিদ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশের জন্য খেলাধুলার প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন খেলাধুলার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ক্রিকেট এবং নারী ফুটবল নিয়ে গৌরব বোধ করতে পারি। এথলেট ও সাঁতার নিয়ে প্রশিক্ষন বাড়াতে হবে। এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো কে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশেষ অতিথি ও বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এবং বিদ্যানিকেতন ট্রাস্টের সদস্য বদিউজ্জামান বদু বলেন, খেলাধুলায় আমাদের মেয়েরা অনেক এগিয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মেয়েরা ফুটবলে প্রতিযোগিতা করে চ্যাম্পিয়ান হচ্ছে। আমাদের ছেলে মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার উপর গুরুত্ব দেয়ার জন্য শিক্ষক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিদ্যানিকেতন ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস সালাম, ট্রাস্টের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহেল ও সাবেক পিপি এবং বিদ্যানিকেতন ট্রাস্টের সদস্য এডভোকেট নবী হোসেন ও প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা উপস্থিত ছিলেন।