নাশকতার আসামিকে ঘুষের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ায় এএসআই ক্লোজড
Published: 8th, July 2025 GMT
নড়াইলের লোহাগড়া থানায় নাশকতা মামলার আসামিকে ঘুষের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ইলিয়াস হোসেনকে ক্লোজড করা হয়েছে। সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি মো. শরিফুল ইসলাম।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কাজী ইয়াজুর রহমান বাবুর দায়ের করা একটি নাশকতা মামলার আসামি কাশিমপুর গ্ৰামের জিল্লুর রহমান। তাকে গত ৫ জুলাই রাতে গ্রেপ্তার করে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন বলে এএসআই ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর মামলার বাদী কাজী ইয়াজুর রহমান বাবু ফেসবুক পোস্টে এ নিয়ে বিস্তারিত লিখে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে ধরেন। পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে পুলিশের পক্ষ থেকে এ পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন ছিল। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় এএসআই ইলিয়াস হোসেনকে থানা থেকে ক্লোজড করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আসামি জিল্লুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ঘটনার পর থেকে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন করে তাদের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদী কাজী ইয়াজুর রহমান বাবু বলেন, পুলিশের মধ্যে থাকা দুর্নীতিবাজ সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এসব অনৈতিক কাজের জন্য সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুরে মাদক মামলার আসামিকে ধরতে গিয়ে হামলায় এএসআইসহ আহত ৩
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে ধরতে গিয়ে পুলিশের দুই সদস্যসহ তিনজন হামলার শিকার হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ওমর ফারুক, কনস্টেবল নাজমুল আহসান ও স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন মিয়া।
এদিকে হামলার ঘটনায় করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি এলাকার হাবিবুর রহমান (৫৫) ও জোহরা বেগম (৪৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি গ্রামের মাজম আলীর (৪০) বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। গতকাল বিকেল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে যায় নালিতাবাড়ী থানা-পুলিশের একটি দল। এ সময় মাজম আলীসহ কয়েকজন পোড়াবাড়ি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়ির রান্নাঘরে বসে ইয়াবা কেনাবেচা করছিলেন। তখন দলটি অভিযানে গেলে আসামির স্বজনেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এতে ওই এএসআই ও কনস্টেবল আহত হন। আসামির স্বজনদের ঠেকাতে গিয়ে হামলার শিকার হন স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন মিয়া। পরে তাঁদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ওমর ফারুক ও শাহীন মিয়া।
পুলিশ জানায়, হামলার ঘটনার পর গত রাতেই অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে হাবিবুর ও জোহরাকে আটক করা হয়। পরে রাতে মামলার পর তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।