বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরের সাউথ-সাউথ অ্যান্ড ট্রায়াঙ্গুলার কো-অপারেশন বিভাগের পরিচালক আনপিং ইয়ি। বুধবার (২৩ জুলাই) সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে তারা বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) কার্যক্রম, বীজ উৎপাদন, পাট পণ্যের বাজার বহুমুখীকরণ ও সক্ষমতা বাড়ানোর কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

উপদেষ্টা বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং অর্থনীতির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সোনালি আঁশ পাট একসময় দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি ছিল এবং বর্তমানেও এর গুরুত্ব অপরিসীম।

আরো পড়ুন:

জলবায়ু ইস্যুতে এক দেশ আরেক দেশের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনে আপত্তি

উপদেষ্টা আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য পাটের সোনালি অতীতকে ফিরিয়ে এনে বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশকে একটি পরিবেশবান্ধব পণ্যের কেন্দ্রস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য গবেষণা, বিনিয়োগ এবং বিপণনে সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহযোগিতা এই কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আনপিং ইয়ি বলেন, পাট পণ্যের জন্য বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বাংলাদেশের পাট পণ্যের বাজার বাড়াতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। এ দেশের কৃষি পণ্যের উন্নয়নে অফিস স্থাপন করা হয়েছে এবং সেখানে দুই শতাধিক জনবল কাজ করে যাদের অধিকাংশ এদেশেরই। এ সময় তিনি পাট পণ্যের উৎপাদন ও বাজার বৃদ্ধিতে সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.

আব্দুর রউফ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত এফএও প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ