বাবা-ছেলের পরিচয়ে ভ্যান ভাড়া, পথে চালককে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাই
Published: 24th, July 2025 GMT
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে যাত্রী সেজে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে উঠেছিলেন দুজন। তাঁরা বাবা-ছেলে পরিচয় দিয়ে ভ্যানটি ভাড়া নেন। পথে চালককে ছুরিকাঘাত ও মারধর করে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যান ওই দুজন।
গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে আক্কেলপুর-জয়পুরহাট সড়কের মাতাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ভ্যানচালক নুর আলম (৪৫) জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর শহরের পশ্চিম আমুট্টা মহল্লার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে আক্কেলপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, নুর আলমের পিঠের তিনটি জায়গায় ব্যান্ডেজ। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন। শয্যার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা।
নুর আলম বলেন, গতকাল রাত ১০টার পর আক্কেলপুর রেলস্টেশনে যাত্রী খুঁজছিলেন। ১১টার পর একটি ট্রেন ছাড়লে এক ব্যক্তি ও এক কিশোর তাঁর কাছে এসে নিজেদের বাবা-ছেলে পরিচয় দেন। তাঁরা প্রথমে জয়পুরহাট, পরে জামালগঞ্জ বাজার যেতে চান। ১৫০ টাকা ভাড়া চাইলে তাঁরা ১০০ টাকা দিতে চান। এতে রাজি হয়ে তিনি তাঁদের ভ্যান তুলে নেন। ভাল্কি সেতু পার হওয়ার পর যাত্রীদের একজন গেঞ্জি ফেলেছে বলে জানিয়ে ভ্যান থামাতে বলেন। সন্দেহ হওয়ায় নুর আলম গতি বাড়িয়ে লোকালয়ের দিকে যেতে চেষ্টা করেন। তখন পেছন থেকে তাঁর পিঠে তিনবার ছুরিকাঘাত করা হয়। তিনি ভ্যান থেকে পড়ে গেলে তাঁকে মারধর করে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যান ছিনতাইকারীরা।
নুর আলম বলেন, ‘ভ্যানই আমার উপার্জনের একমাত্র সম্বল। ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আমার মারা যাওয়া ভালো ছিল। এখন সংসার চালামু কেমনে?’
আক্কেলপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং আহত ভ্যানচালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনে। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র আলম
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।