গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনরত কলেজ ছাত্র হৃদয়কে গুলি করে হত্যা করা হয়। দীর্ঘ ১১ মাস পর ওই কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধারের জন্য গাজীপুর মহানগরীর কড্ডা ব্রিজ এলাকায় তুরাগ নদীতে অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

নিহত কলেজছাত্র হৃদয় (২০) টাঙ্গাইলের গোপালপুরের আলমগর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তিনি হেমনগর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি কোনাবাড়ী এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন।

প্রায় এক বছর পর বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধারে কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এতে সার্বিক সহায়তা করছেন মহানগর পুলিশের সদস্যরা।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মাসুদ পারভেজ। 

সরেজমিনে উপস্থিত থেকে উদ্ধার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন তিনি। এ সময় ট্রাইব্যুনালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত থেকে উদ্ধার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, ডুবুরি দলের সদস্যরা প্রস্তুতি নিয়ে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। উদ্ধার কাজ শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।  

এর আগে, এ ঘটনায় পুলিশের এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই কনস্টেবলের নাম মো.

আকরাম হোসেন (২২)। তিনি গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার কিশোরগঞ্জের পারাইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ৫ আগস্ট হৃদয় কোনাবাড়ী সড়কে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে হৃদয় রাস্তার পাশে অবস্থান নেন। সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন শিল্প পুলিশে কিছু সদস্য। তারা হৃদয়কে রাস্তার পাশ থেকে ধরে নিয়ে যান। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি করলে সেখানেই তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় হৃদয়ের ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে গত ২৬ আগস্ট কোনোবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দাখিল করেন। মামলায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে হুকুমের আসামি এবং অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়।

উদ্ধার অভিযান চলাকালে হৃদয়ের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। 

ঢাকা/রেজাউল//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপস থ ত সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ