প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টা পর রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের যান চলাচল শুরু হয়েছে। পাহাড়ধসের কারণে আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এ এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে বেলা আড়াইটা থেকে সড়কটি সচল হয়। ফলে সাজেক ভ্যালিতে আটকে থাকা তিন শতাধিক পর্যটক ফিরেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানায়, বুধবার রাত থেকে ওই এলাকায় টানা বৃষ্টি হয়। ভোর ছয়টার দিকে সাজেকের নন্দরাম এলাকায় বাঘাইহাট-সাজেক সড়কে একটি বড় অংশ ধসে পড়ে। খবর পেয়ে সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজে নামে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিস, সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দা ও উপজেলা প্রশাসন। সাড়ে আট ঘণ্টা পর মাটি সরানোর কাজ শেষ হয়।

যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার পর সাজেক ভ্যালিতে আটকে থাকা অন্তত ৭৬টি মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ২২টি জিপ-পিকআপ সাজেক ছেড়ে বাঘাইহাটের পথে রওনা হয়। এসব যানবাহনে তিন শতাধিক পর্যটক ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা ও বেলা ৩টা পর্যন্ত বাঘাইহাট থেকে সাজেকের রুইলুই ভ্যালির উদ্দেশে পর্যটকবাহী গাড়ি চলাচল করে। একই সময় সাজেক থেকেও গাড়িগুলো বাঘাইহাটের দিকে ফিরে আসে। তবে ধসের কারণে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এসব গাড়ি চলাচল করতে পারেনি।

সাজেক ভ্যালি রিসোর্ট ও কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুর্পন দেববর্মণ বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাজেকে অনেক পর্যটক আটকে ছিলেন। ধস সরিয়ে ফেলায় আড়াইটার দিকে সাজেক থেকে গাড়িগুলো রওনা হয়েছে। একই সময় বাঘাইহাট থেকে আসা নতুন পর্যটকেরাও সাজেকে পৌঁছেছেন।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিরিন আক্তার বলেন, ধসে পড়া মাটি সরাতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় বাসিন্দারা কাজ করেছেন। টানা সাড়ে আট ঘণ্টা পর এই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর যটক

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ