সমকামিতায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) পাঁচ শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে তাঁদের বিচার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী।

ডুয়েটের পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) অধ্যাপক উৎপল কুমার দাস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ওই পাঁচ ছাত্রকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, ‘অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত ছাত্রদের সমকামিতার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া যায়। বিষয়টি সঠিক তদন্ত ও ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের সাময়িকভাবে হল থেকে বহিষ্কার করা হলো।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, কিছু শিক্ষার্থী কর্তৃপক্ষের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রের বিরুদ্ধে সমকামিতায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাজী নজরুল ইসলাম হলের তিনজন ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের দুজনকে হল থেকে বহিষ্কার করে। এ ছাড়া আর কেউ জড়িত আছেন কি না, সেটা তদন্ত করতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে ওই পাঁচ ছাত্রের বিচারের দাবিতে আজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। তাঁদের দাবি, ওই পাঁচজনকে শুধু হল থেকে নয়, ক্যাম্পাস থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। তা ছাড়া সমকামিতা বন্ধে আইন করার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডুয়েটের পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) অধ্যাপক উৎপল কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সমকামিতা বন্ধের আইন করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলেই আইন করতে পারে না। আইন করার জন্য আলাদা কমিটি গঠন করতে হবে। সেই কমিটি করার বিষয়ে আগামী রোববার বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ওই পাঁচ ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সমক ম ত আইন কর হল থ ক

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবনের ‘শ্যাডোতে’ নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি ব্যানারের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। তবে শেষ পর্যন্ত মিছিল কর্মসূচি স্থগিত করে ৯-১০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল সহকারী প্রক্টরদের সঙ্গে আলোচনা করে।

আলোচনা শেষে রাত ৯টার দিকে প্রক্টর অফিসের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ব্যানার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের আনাগোনা আমাদের বারবার ব্যথিত করছে। প্রশাসনের কাছে যখনই জানতে চাই, তারা বলে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে আমরা আজও জানতে পারিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী শেখ হাসিনার পক্ষে মিছিল করেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। (২০২৪ সালের) ১৫ জুলাই হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের বিচার এখনো পর্যন্ত আমরা দেখতে পাইনি।’

আজিজুল হক বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা রাতের বেলা কলাভবনে বসে বাদাম খান। তাঁদের কাজ কি বাদাম খাওয়া? নাকি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা? সেই প্রশ্ন আজকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে রেখেছি।’

এই ছাত্রনেতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং পরবর্তী সময়ে সেই প্রতিবেদন তাঁদের কাছে পেশ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী