এখানে প্রশাসনিক ব্যবস্থা কোথায়—‘মব’ প্রসঙ্গে রিজভী
Published: 24th, July 2025 GMT
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘৫ আগস্টের পর মব কালচার এত বেশি তীব্র আকার ধারণ করল কেন? এখানে প্রশাসনিক ব্যবস্থা কোথায়? এটা তো আজকে মানুষ জানতে চায়। কেউ হয়তো বলে দিল একটা নিরীহ ছেলে চুরি করেছে, হঠাৎ উচ্ছৃঙ্খল জনতা তার ওপর আক্রমণ করে তাকে মেরেই ফেলল। এটা হচ্ছে, প্রায় হচ্ছে। স্বামী-স্ত্রী সন্তানসহ হত্যা করা হচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের সাইফুর রহমান মিলনায়তনে জেলা বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন বীভৎস হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এটা তো অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষ আশা করে না।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জি কে গউছ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান প্রমুখ।
উপদেষ্টা পরিষদ প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক দল—যারা সংগ্রামে ছিল, আন্দোলনে ছিল, তাদের সমর্থিত সরকার হচ্ছে ড.
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘অনেক বিতর্কিত লোককে উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে যাঁদের ভূমিকা ছিল ন্যক্কারজনক। ঢালাও বলব না, অনেকেই নানা লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। কিন্তু দুই একজনকে রাখা হয়েছে, যাদের কোনো না কোনোভাবে হাসিনার সাথে বা হাসিনার রেজিমের সাথে সম্পৃক্ততা ছিল। আমি নাম বলতে চাই না। তাহলে এর পরে আপনি কী করে আইনের শাসন নিশ্চিত করবেন?’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।