বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘৫ আগস্টের পর মব কালচার এত বেশি তীব্র আকার ধারণ করল কেন? এখানে প্রশাসনিক ব্যবস্থা কোথায়? এটা তো আজকে মানুষ জানতে চায়। কেউ হয়তো বলে দিল একটা নিরীহ ছেলে চুরি করেছে, হঠাৎ উচ্ছৃঙ্খল জনতা তার ওপর আক্রমণ করে তাকে মেরেই ফেলল। এটা হচ্ছে, প্রায় হচ্ছে। স্বামী-স্ত্রী সন্তানসহ হত্যা করা হচ্ছে।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের সাইফুর রহমান মিলনায়তনে জেলা বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন বীভৎস হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এটা তো অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষ আশা করে না।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জি কে গউছ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান প্রমুখ।

উপদেষ্টা পরিষদ প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক দল—যারা সংগ্রামে ছিল, আন্দোলনে ছিল, তাদের সমর্থিত সরকার হচ্ছে ড.

ইউনূসের সরকার। সেখানে এত দ্বিধা, এত দ্বন্দ্ব কেন? কোনো কোনো উপদেষ্টার খায়েশ থাকতে পারে। অধ্যাপক ইউনূস তো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানুষ, গুণীজন মানুষ, সর্বজনশ্রদ্ধেয় মানুষ। তাঁকে তো জনগণের ইচ্ছা–আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আপনি হয়তো ভালো মানুষ। কিন্তু আপনার আরও যারা আছে, তাদের হয়তো নানান বিষয় থাকতে পারে। তা না হলে আজকে সচিবালয়ের ভিতরে ছাত্রলীগ স্লোগান দেয় কী করে? গোপালগঞ্জে আক্রমণ করে কী করে?’

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘অনেক বিতর্কিত লোককে উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে যাঁদের ভূমিকা ছিল ন্যক্কারজনক। ঢালাও বলব না, অনেকেই নানা লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। কিন্তু দুই একজনকে রাখা হয়েছে, যাদের কোনো না কোনোভাবে হাসিনার সাথে বা হাসিনার রেজিমের সাথে সম্পৃক্ততা ছিল। আমি নাম বলতে চাই না। তাহলে এর পরে আপনি কী করে আইনের শাসন নিশ্চিত করবেন?’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসলামি আলেমের সম্ভাব্য সফর প্রসঙ্গে ভারতের মন্তব্য ঢাকার নজরে

বিশিষ্ট এক ইসলামি স্কলার বা আলেমের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্য বাংলাদেশের নজরে এসেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম গতকাল শনিবার বাসসকে বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র একজন বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে যে মন্তব্য করেছেন, তা আমাদের নজরে এসেছে।’

এস এম মাহবুবুল আলম আরও বলেন, ‘আমরাও বিশ্বাস করি যে কোনো দেশের অন্য দেশের কোনো অভিযুক্ত বা পলাতক ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ